পুরভোটে ফের সবুজ ঝড়। চলতি সপ্তাহেই খুলছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল। কমছে নাইট কারফিউর সময়। নয়া কোভিড নির্দেশিকায় জানাল নবান্ন। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে ব্যবহার করা যাবে না মমতার ছবি। শিবিরে যেতে মানা মন্ত্রীদেরও। পুরভোটের আগে নির্দেশ কমিশনের। দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ৩৫ হাজারের নিচে। কমল মৃত্যুর হার।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবার ভোটগণনা শুরুর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ছবিটা। তৃণমূলের দখলে এল চার পুরনিগম- শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর। জয়ের জন্য মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটারে দলনেত্রী লেখেন, “আবারও মা-মাটি-মানুষের জয়। আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের মানুষকে অভিনন্দন। তৃণমূলের উপর ভরসা রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।” এরপরই জুড়ে দেন, “আমরা এভাবেই উন্নয়নের কাজ করে যাব। এমন জয়ের জন্য সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলে দেন, কোনও কাজ না করার জন্যই শিলিগুড়িতে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
আসানসোল, বিধাননগর এবং চন্দননগর এমনিতেই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তবে এই প্রথম শিলিগুড়ি পুরনিগম হাতে এল ঘাসফুল শিবিরের। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, উত্তরের এই শহরের পুরনিগমের প্রায় সব ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর এবার শিলিগুড়িতে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৭টি তৃণমূলের দখলে। বিজেপি পেয়েছে ৫টি, সিপিএম ৪টি এবং কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। এমন ফলাফলের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ির জন্য যে কাজ করার কথা ছিল, বিজেপি তা করেনি। বিজেপির পাশাপাশি মমতা একহাত নেন সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও। ফের তিন দলকে ‘জগাই-মাধাই-গদাই’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলে দেন, “কখনও বিজেপি সিপিএমকে ভোট দেয়, কখনও সিপিএম বিজেপিকে। আবার কখনও বিজেপিকে ভোট দেয় কংগ্রেস, কখনও কংগ্রেস বিজেপিকে।” সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করে সাধারণ মানুষকেই ধন্যবাদ জানালেন মমতা।
2. কমছে কোভিডের প্রকোপ। সেই কারণে চলতি সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই খোলা হচ্ছে সমস্ত স্কুলের প্রাথমিক বিভাগ, খুলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও। সোমবার নয়া কোভিড গাইডলাইন জারি করে এ কথা জানাল নবান্ন। তবে কঠোর বিধি মেনে তবেই স্কুলে প্রবেশের অনুমতি পাবে পড়ুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আপাতত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির জেরে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ। দফায় দফায় নানা নিয়মবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাংশ খোলা হলেও, ছোটদের ক্লাসে যাওয়া বন্ধই ছিল। তবে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ক্লাসরুম খোলা হলেও ‘পাড়ার শিক্ষালয়ে’ পড়াশোনা চলছিল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী বারবার জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুতই খোলা হবে স্কুল। জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এবার স্কুলে গিয়েই পড়াশোনা করতে পারবে। মঙ্গলবারের মধ্যে স্কুলশিক্ষা দপ্তর প্রয়োজনীয় গাইডলাইন পাঠাবে স্কুলগুলিতে। নয়া কোভিডবিধিতে শিথিল করা হয়েছে নাইট কারফিউও। রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।