সংসদের নিরাপত্তায় গলদ নিয়ে প্রতিবাদের জের। ধনকড়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে বহিষ্কৃত ডেরেক। বিক্ষোভ দেখিয়ে সাসপেন্ড আরও ১৪ বিরোধী সাংসদ। ‘সংসদে হামলা নিয়ে রাজনীতি নয়।’ মন্ত্রীদের বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বসলেন জরুরি বৈঠকে, হাজির শাহ-নাড্ডা। ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫, ৪ অভিযুক্তকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও বিশ্বাস নেই? জ্যোতিপ্রিয়র সিসিটিভি মামলায় ইডিকে প্রশ্ন হাই কোর্টের। পালটা এসএসকেএম-কে কাঠগড়ায় তুলল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সংসদে নিরাপত্তার গলদ নিয়ে প্রতিবাদের জেরে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার পরেই অসংসদীয় আচরণের কারণে তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যসভা। গোটা অধিবেশন থেকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে।
সংসদের মধ্যে স্মোক বম্ব নিয়ে দুই ব্যক্তির হানা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবারও এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আলোচনার দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি ছিল, এদিনের গোটা অধিবেশনেই নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হোক। যদিও বিরোধীদের নোটিস অগ্রাহ্য করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করে প্রতিবাদ চালিয়ে যান বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য প্রথমে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়। লোকসভাতেও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে বিরোধী শিবিরের আরও ১৪ জন সাংসদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের, দুজন সিপিএমের, দুজন ডিএমকের তৃণমূলের একজন এবং একজন সিপিআইয়ের। সব মিলিয়ে শীতকালীন অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না ১৫ জন সাংসদ।
2. ‘সংসদে হামলা নিয়ে রাজনীতি নয়।’ মন্ত্রীদের বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। পুরো সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথাও মন্ত্রীদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগেই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ও অনুরাগ ঠাকুর। ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছে বিরোধীরা। তবে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সব দায়ই কেন্দ্র চাপাচ্ছে সংসদের সচিবালয়ের উপর। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনে ঢোকার পথেই দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা। একইসঙ্গে ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএর আওতায় মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।