সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে যোগ দেবেন গ্রেটার কোচবিহারের অনুষ্ঠানে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ। ধনকড় ইস্যুতে মমতার পাশে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর। টেলিফোনে কথা মমতা-স্ট্যালিনের। প্রয়োজন নেই পুনর্নির্বাচনের। বিরোধীদের দাবি খারিজ করে জানাল নির্বাচন কমিশন। দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ৫০ হাজারের নিচে। ভোটপ্রচারে আরও ছাড় কমিশনের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাগডোগরায় নামবেন তিনি। শিলিগুড়ি হয়ে যাবেন কোচবিহারে। সেখানে পরবর্তী প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়া বুধবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এই সফরেই তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে খবর।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনন্ত মহারাজ গোষ্ঠীর ২৪তম কেন্দ্রীয় অধিবেশন শুরু। সেইসঙ্গে এবছর চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মজয়ন্তী। তার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের পক্ষ থেকে বড়সড় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের জন্য কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বাণেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত মহারাজ। সূত্রের খবর, সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কোচবিহারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৬ তারিখ বাণেশ্বরের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় চিলা রায়ের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন বলেও জানা যাচ্ছে।
2. অবিজেপি রাজ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে এবার পাশাপাশি এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এম কে স্ট্যালিন। বাংলায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নানা কার্যকলাপ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত সপ্তমে। তাঁর অপসারণের দাবিতে দিল্লিতে দরবার করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এমনকী সংসদে এই সংক্রান্ত প্রস্তাবও আনা হয়েছে। অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের এ ধরনের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধেবেলা দু’জনের মধ্যে কথা হয় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে। অবিজেপি জোট আরও পোক্ত করা প্রয়োজন বলে স্ট্যালিনকে মনে করিয়েছেন মমতা। টুইট করে তা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার রাজ্যপালের বিভিন্ন কাজ নানা সময সংঘাতের জন্ম দিয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে। এ নিয়ে বারংবার সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতারা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিরক্ত হয়ে তাঁকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। তবে এই পরিসরেই বিষযটি সীমিত থাকছে. প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপের ইস্যুতে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি যে একযোগে সরব হতে পারে, এদিনের কথোপকথনে সে ইঙ্গিত মিলছে বলেও মত রাজনৈতিক মহলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।