লালন শেখের মৃত্যুর কারণ জানাক সিবিআই। মেঘালয় থেকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর মৃতের স্ত্রী-র। দাবি CID তদন্তের। সাকেত গোখলকে পাশে নিয়েই মেঘালয়ে কর্মী সম্মেলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় খাটবে না ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’। বৈঠকে জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিবের। মেডিক্যাল কলেজে জারি জটিলতা। অনশন আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা, অসুস্থ বেশ কয়েকজন। TET বিতর্কের মাঝেই পর্ষদকে সার্টিফিকেট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। চিন-ভারত সংঘর্ষ নিয়ে বিবৃতি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
হেডলাইন:
]আরও শুনুন: 11 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- নির্বিঘ্নেই মিটল টেট, পর্ষদকে দরাজ সার্টিফিকেট, বিরোধীদের বিঁধলেন ব্রাত্য
বিস্তারিত খবর:
১। সিবিআই হেফাজতে বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “মৃত্য়ুর নিন্দা করছি। মৃতের স্ত্রী এফআইআর করেছে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।” একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “সিবিআই যদি এতই স্মার্ট হয় তাহলে তাদের হেফাজতে কেন ধৃতের মৃত্যু হল? সিবিআইকে বিস্তারিত জানাতে হবে।” এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, সিবিআই হেফাজতেই খুন করা হয়েছে লালনকে। যদিও তদন্তকারীদের পালটা দাবি ছিল, আত্মহত্যা করেছেন লালন। তবে এদিন দুই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেএফআই আর দায়ের করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তাঁর দাবি, তাঁদের ছেলেকেও নাকি খুনের হুমকি দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের তরফে দেওয়া হয়েছিল মেয়ের সম্মানহানির হুমকি। এমনকি মামলা ধামাচাপা দিতে নাকি ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল সিবিআই, এমন বিস্ফোরক দাবিও করেছে পরিবার। এদিন রেশমা সাফ জানিয়ে দেন, অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি না হলে লালনের দেহ নেবেন না তাঁরা। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের আরজিও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে লালনের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে আছেন বগটুই গ্রামের বাসিন্দারা। লালনের মতো আরও যারা সিবিআই হেফাজতে রয়েছে তাদেরও একই পরিণতি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা তাঁদের।
২। সাকেত গোখেলকে সঙ্গে নিয়েই মেঘালয় অভিযান শুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার শিলংয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চে দেখা গেল দলের জাতীয় মুখপাত্রকে। কিছুদিন আগেই মোরবি সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে টুইটের কারণে সাকেতকে গ্রেপ্তার করেছিল গুজরাট পুলিশ। যদিও দুবার গ্রেপ্তারি সত্ত্বেও তাঁকে আটকে রাখা যায়নি। বরং তাঁর গ্রেপ্তারির সঠিক কারণ জানাতে না পারলে আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়ে রেখেছিলেন সাকেত। সেই নেতাকে কর্মিসভায় পাশে রেখে রাজনৈতিক বার্তা দিলেন মমতা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন তাঁকে মঞ্চে এনে মমতা বললেন, “নেতা হতে হলে, এরকমই হতে হবে। ধৈর্য থাকতে হবে, সহ্য করতে হবে।” পাশাপাশি এদিনের সভায় বাংলায় তৃণমূল সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে মেঘালয়কেও উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন অতুলনীয়। মেঘালয়েও আমরা সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করব। স্বাস্থ্যসাথীতে বাংলার মানুষজনের খুব উপকার হয়েছে। এখানে আমরা ভোটে জিতলে তা চালু হবে। আপনারাও সহজে ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।” এ প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের নারীতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিশ্রুতি মতো এদিন অসম পুলিশের ৫ নিহতের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “গুয়াহাটি নয়, মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই। বাংলায় যদি পরিবর্তন আসতে পারে, তাহলে মেঘালয়ে কেন হবে না?” তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতার এই যৌথ রাজনৈতিক সফর ভবিষ্যতের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।