সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফা গ্রাহ্য নয়। পদত্যাগ ব্যক্তিগত বিষয়, সাফ জানাল রাজ্য। কারণসহ ইস্তফা দিতে হবে, বার্তা আলাপনের। বেসরকারি হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি। সোম থেকে বুধ পরিষেবা বন্ধের ডাক। গুরুতর অসুস্থ আরও এক অনশনকারী। পুজোর পরেই বদলাবে আবহাওয়া। কার্নিভালে বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা। পুজোর মধ্যে নাশকতা ওপার বাংলায়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 10 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ত্রিধারার মণ্ডপে স্লোগান কাণ্ডে ধৃত ৯ জনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
বিস্তারিত খবর:
1. সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফা গ্রাহ্য নয়। শনিবার সরকারের তরফে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফা ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তাকে কারণ-সহ ইস্তফাপত্র দিতে হবে ব্যক্তিগতভাবে। নাহলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে না। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের গণইস্তফা বলে যা বলা হচ্ছে, তা সরকার গ্রহণ করছে না। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দফা দাবিতে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আমরণ অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের সমর্থনে আর জি কর, এসএসকেএম-সহ একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফার পথে হেঁটেছেন। সবমিলিয়ে ইস্তফার সংখ্যা একশোর বেশি। তবে সকলেই জানিয়েছিলেন, সরকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁরা পরিষেবা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু তাঁদের এই ইস্তফাপত্র সরকার গ্রহণ করছে না, এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা।
2. জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাতে ৪৮ ঘণ্টার আংশিক কর্মবিরতির ডাক দিলেন শহরের তিরিশটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। শনিবার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে,”১৪ ই অক্টোবর সোমবার থেকে বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কর্মরত বেশীরভাগ ডাক্তাররাই এমারজেন্সি ছাড়া বাকি পরিষেবা থেকে বিরত থাকবেন।”জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতালে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকার সদর্থক কোনও পদক্ষেপ করছে না। এই পরিস্থিতিতে বেশীরভাগ ডাক্তারই উদ্বিগ্ন, হতাশ ও ভীত। এই মানসিক পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে দৈনন্দিন কাজ করা খুব মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা বলেছেন, “যদি সদর্থক পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাই, তাহলে আমরা কাজে ফিরতে পারব। তা না হলে এই কর্মবিরতিকে দীর্ঘায়িত করতে হবে, যা আমরা কেউই চাই না।” তবে জরুরী পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে না। চিকিৎসকদের কথায়, এই আন্দোলন শুধু ডাক্তারদের নয়, প্রথমদিন থেকে সমাজের সব স্তরের মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছেন। তাই রোগীস্বার্থের দিকে নজর রেখে এমারজেন্সি পরিষেবা চালু রাখা হচ্ছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।