শিল্পায়নে এগোল রাজ্য। তাজপুর বন্দরের নথি হস্তান্তর করা হল আদানি গোষ্ঠীকে। রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনীতে নথি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ আদালতের। নেতৃত্বে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কমিশনার। আরও ৪ দিন এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। মোমিনপুরের অশান্তির পরই বিস্ফোরক উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়। বাংলায় আইনের শাসন চলে না, দাবি প্রাক্তন রাজ্যপালের। পালটা বিঁধল তৃণমূল।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. শিল্পায়নের পথে হাঁটছে রাজ্য। তাজপুর বন্দর তৈরির কাজ এগোল আরও একধাপ। বুধবার ইকো পার্কে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই আদানি গ্রুপকে তাজপুর বন্দরের নথিপত্র হস্তান্তরিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেই। শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে নবান্নে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেয়ে আদানি গোষ্ঠীর হাতেই তুলে দেওয়া হয় বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব। এবার আরও এগোল সেই কাজ। এদিন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে ইকো পার্কে উপস্থিত হয়েছিলেন আদানিপুত্র কিরণ আদানি। বিশিষ্ট জনদের সামনে তাঁর হাতে তাজপুর বিষয়ক ফাইল তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজয়া উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে শিল্পায়নের অগ্রগতির ঘোষণাও করলেন তিনি।
2. মোমিনপুর, একবালপুর এলাকায় অশান্তির ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সিটের নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এরপরই লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে ডিজি জানালেন, “অশান্তি ছড়ানোর ঘটনায় যারা যারা জড়িত ছিল, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে, ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে শান্তির স্বার্থেই আরও চারদিন জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।” এছাড়া এলাকায় এখনও পুলিশ পিকেট বহাল রাখারও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অশান্তির জেরে কেউ যদি ঘরছাড়া হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থাও করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।