বাতিল প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি। কড়া নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কুন্তলের চিঠি মামলায় মিলল না স্বস্তি। হাই কোর্টে আইনি রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধকরণ নিয়ে এবার রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের। কয়লা পাচার মামলার তদন্তে ফের নয়া মোড়। জ্ঞানবাপী মামলায় নয়া মোড়। জামিন মঞ্জুর হল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। কুস্তিগিরদের ধরনায় আশার আলো।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 10 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ১৯ মে, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
আরও শুনুন: 11 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- এবার ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স, নবান্নে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল বলে ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৪ সালের টেট থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্তদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, শুক্রবার তাঁদেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার তদন্তে আগেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করা শিক্ষকদের আলাদা করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছিল আদালত। তাতে উঠে আসে একাধিক গলদ। সে বছর সাড়ে ৪২ হাজার পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্য়ে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীনের চাকরিই বাতিল করা হল। তবে যাঁরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যাঁদের চাকরি বাতিল হল তাঁদের সামনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ রয়েছে এখনও। বিচারপতি জানিয়েছেন, বাতিল হওয়া শিক্ষকরা আগামী ৪ মাস কাজ করবেন, পার্শ্বশিক্ষকদের হারে বেতন পাবেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বিচারপতির কড়া নির্দেশ, আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাতিল হওয়া শিক্ষকরাও নতুন করে আবেদন করতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক পদে এবং তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। হাই কোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, “চাকরিহারাদের দায় পর্ষদ অস্বীকার করতে পারে না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। বোর্ড যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা হবে।” চাকরিহারাদের অ্যাপটিচিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ, তাও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
2. শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় স্বস্তি মিলল না। আইনি রক্ষাকবচ পেলেন না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কুন্তল ঘোষের চিঠির মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বৃহস্পতিবারই আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক। সেই আবেদনের শুনানি ছিল শুক্রবার, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। প্রসঙ্গত এই মামলায় বেঞ্চ বদল হওয়ার পরই নতুন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে সহযোগিতা করতে অসুবিধা কোথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের? এরপর আবার অভিষেক মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। আদালত সূত্রে খবর, এদিন মামলার শুনানির শুরুতে বিচারপতি সিনহা জানান, এই মামলা বিচারাধীন। সোমবার ফের শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইলে অভিষেককে জেরা করতে পারে। বিচারপতি এ-ও বলেন, বিচারপতির বেঞ্চ বদল হলেও আইন তো বদলায় না। এদিকে, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে তাঁর কাছে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু তিনিও সিবিআই তদন্ত চান। তাই সেই নির্দেশ বহাল রইল। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকল রাজ্য সরকারের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।