কাজে এল সুপ্রিম দাওয়াই। একদিনের মধ্যে কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিল SBI। CAA-র প্রতিবাদে পথে নামছেন মমতা। আবেদন করলেই নাগরিকত্ব বাতিল, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তফসিলিদের বোঝাতে কর্মসূচি চালু অভিষেকের। ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা। খুলল CAA-র অনলাইন পোর্টাল।বিরোধিতায় মামলা দায়ের শীর্ষ আদালতে। দ্বিতীয় দফার প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- দেশে কার্যকর CAA, ‘বৈষম্য মানব না’, পালটা হুংকার মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. কাজে এল সুপ্রিম দাওয়াই। একদিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গতকাল নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশে স্টেট ব্যাঙ্কের অতিরিক্ত সময় চাওয়ার আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার, ১২ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিতে বলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। সেই মতোই মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের নথি দিল SBI। শীর্ষ আদালতের বিগত রায়ের নির্দেশ মতো আগামী শুক্রবার নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আনবে। যদিও কমিশনকে বন্ড জমা দেওয়ার বিষয়ে একটি হলফনামাও দিতে বলেছিল আদালত। সেই হলফনামা SBI চেয়ারম্যান ও পরিচালক মণ্ডলী সুপ্রিম কোর্টে এখনও পর্যন্ত জমা দেননি বলেই জানা গিয়েছে। নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবার প্রকাশ করা হবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে কমিশন সেই তথ্য জনসমক্ষে আনবে। বিরোধীদের দাবি, ওই তথ্য প্রকাশ্যে এলেই বিজেপির সঙ্গে শিল্পপতিদের বিশেষ করে আদানিদের যোগাযোগ প্রকাশ্যে চলে আসবে।
2. CAA নিয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে আবারও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, জীবন দিয়ে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করবেন তিনি। একইসঙ্গে নয়া আইনের বিরুদ্ধে পথে নামার কথাও ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বুধবার শিলিগুড়ি শহরে এই নিয়ে মিছিলে হাঁটার কথা মমতার। একইসঙ্গে তফসিলিদের বোঝাতে কর্মসূচি চালু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মূল লক্ষ্য, তফসিলি অধ্যুষিত এলাকায় CAA নিয়ে লাগাতার বিজেপি বিরোধী প্রচার। মঙ্গলবার হাবরার সভা থেকে CAA ইস্যুতে ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঙ্কার, সিএএ-র জোরে বাংলার কোনও বাসিন্দার নাগরিকত্ব কাড়তে দেবেন না। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেবেন না তিনি। এরপরই মমতা বলেন, CAA ও NRC পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বহু মানুষ হারাতে পারেন নাগরিকত্ব। অসমের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, “যেভাবে অসমের ১৩ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে, একই পরিণতি হবে বাংলার মানুষের।” তিনি আরও বলেন, “এই আইন কার্যকর করার কোনও পদ্ধতি বিজ্ঞপ্তিতে বলা নেই। এই আইন অসাংবিধানিক এবং বিভেদকামী। নইলে কেন তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা শুধু হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?” তাঁর সাবধানবাণী, “যেই CAA পোর্টালে দরখাস্ত করবেন, তখনই আপনাদের এতদিনকার নাগরিকত্ব বাতিল হবে।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পালটা দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নেত্রীকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন মানুষকে।” সব মিলিয়ে CAA ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।