‘এমার্জেন্সি’র কথা মনে করিয়ে নয়া পদক্ষেপ মোদি সরকারের। ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ ঘোষণা। পালটা তোপ মমতার। বাজেট অধিবেশনের আগে একান্ত বৈঠকে মমতা-উদ্ধব। সরকার ভেঙে দিতে পারে বিরোধীরা, জোটসঙ্গীকে পাশে নিয়ে বার্তা নেত্রীর। ইডি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন কেজরির। তবে সিবিআই গ্রেপ্তারির কারণে তিহাড়েই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।রাজকীয় বিয়েতে চারহাত মিলল অনন্ত-রাধিকার। ঘোষিত ডুরান্ড কাপের সূচি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 জুলাই 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ডোমজুড়ে সোনার দোকান লুঠের চক্রী বিহারের ‘চাচি’, গ্রেপ্তার ৫
বিস্তারিত খবর:
1. ‘এমার্জেন্সি’র কথা মনে করিয়ে নয়া পদক্ষেপ মোদি সরকারের। ২৫ জুন তারিখটিকে ঘোষণা করা হল ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসাবে। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মানসিকতায় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ওই কালো দিন ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।’ তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল সেইসব মানুষকে সম্মান করা, যারা স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন সয়েও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারেবারেই ‘জরুরি অবস্থা’র অতীত স্মরণ করে সরব হতে দেখা গিয়েছে মোদি-শাহদের। সংসদের অন্দরেও এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। যেখানে সংবিধান রক্ষা নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা, সেখানে এই ঘোষণা আসলে কংগ্রেসকে চাপে রাখার কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ন্যায় সংহিতা কার্যকর করা, বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার কথা মনে করিয়ে এরপরেই মোদি সরকারকে তোপ দেগেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও।
2. জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন। তার আগে মুম্বইয়ে একান্ত বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ঠাকরেদের বাসভবন ‘মাতোশ্রী’তেই কথা বললেন দুজনে।
আম্বানিপুত্রের বিয়ে উপলক্ষে মুম্বইতে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই ফাঁকেই রাজনৈতিক কর্মসূচি সারলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সংসদে কেন্দ্রকে চাপে ফেলার রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করে থাকতে পারেন বিরোধী শিবিরের দুই নেতা-নেত্রী। যদিও উদ্ধব ঠাকরের মতে, ‘দিদি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ একেবারেই পারিবারিক, রাজনৈতিক নয়। তবে দুজনের আলোচনার পর সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে আক্রমণের পাশাপাশি বিরোধীদের শক্তি নিয়েও আত্মবিশ্বাসী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই মুহূর্তে বিরোধী জোট খুবই শক্তিশালী। সরকারকে পদে পদে চাপে ফেলতে প্রস্তুত বিরোধীরা। মমতা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে তিনি উদ্ধব শিবিরের হয়ে প্রচার করবেন। লোকসভা নির্বাচনে উদ্ধব, শরদদের মহাজোট বিজেপিকে যে ভাবে ধাক্কা দিয়েছে, তারও প্রশংসা করেন মমতা। পাশাপাশি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের জেলবন্দি করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।