‘দখল নয়, ভালবাসতে আসব’, GTA-এর শপথ অনুষ্ঠানে শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। দিলেন পাহাড়ের উন্নয়নের রূপরেখা। ঘোষণা এডুকেশন ও আইটি হাব গড়ার। ‘মমতা থাকতে বাংলা ভাগ নয়’, বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেশের অর্থনীতি নিয়ে তোপ বিজেপিকে। কর্মিসভা থেকে দলীয় কর্মীদেরও দিলেন কড়া বার্তা। নয়া সংসদ ভবনের অশোক স্তম্ভে ‘বিকৃত’ সিংহের মূর্তি। জাতীয় প্রতীকের অবমাননায় সরব তৃণমূল। সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- উদ্বোধন শিয়ালদহ-ফুলবাগান মেট্রো রুটের, অনুপস্থিত তৃণমূল প্রতিনিধিরা
বিস্তারিত খবর:
1. GTA-এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি এবং উন্নয়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পাহাড়ের যানজট, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান থেকে কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক বড় ঘোষণা করলেন তিনি। পাহাড়ে এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে দেখা যায়নি, এ কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানান, “কথা দিন, পাহাড়কে আর অশান্ত হতে দেবেন না।”
শপথের মঞ্চ থেকেই জিটিএ’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেছিলেন, মমতার হাত ধরেই পাহাড়ের উন্নয়ন ঘটাতে চান তিনি। এরপরই পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের ২০০ একর জমিতে নতুন শিল্পনগরী, মংপুতে হিল ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ক্যাম্পাস, ডাওহিলে এডুকেশন হাব গড়ার ঘোষণা করলেন তিনি। শান্তি বজায় থাকলে সমতলের সিলিকন ভ্যালির মতো পাহাড়েও আইটি হাব তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন নারীকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূত্র ধরেই মমতা জানিয়েছেন, পাহাড়ের মহিলারা গাড়ি চালালে গাড়ি কেনার জন্য ঋণ দেবে সরকার। চা বাগানের মধ্যে হোম স্টে, মিরিকের জন্য ইকো টুরিজমের পরিকল্পনা, এমন নানা উপায়ে পর্যটকদের কাছে পাহাড়কে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সব মিলিয়ে পাহাড়ের উন্নয়ন যে রাজ্য সরকারের পাখির চোখ, সে কথাই এদিন স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। এদিন প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি একেবারে অন্য মেজাজেও পাওয়া গেল তাঁকে। নিজের হাতে ফুচকা বানিয়ে ছোটদের তুলে দিলেন। সমতলের মতো পাহাড়েও যে তিনি ঘরের মেয়ে, এদিন যেন সেই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. বাংলা ভাগ ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলা ভাগ হবে না। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই। পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গ।” এদিন কর্মিসভা থেকে সরাসরি বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, “ক্ষমতা থাকলে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য করে দেখান।” পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে অভিষেকের সাফ কথা, বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মতো অবস্থা হবে ভারতের।
একই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোতের আগে দলকে চাঙ্গা করার কাজেও নামলেন অভিষেক। ধুপগুড়ির সভা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তাই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত এক বছরে কোন নেতা ক’টা বুথে গিয়েছেন, তার রিপোর্ট নিয়ে কলকাতায় আসার নির্দেশ দিলেন তিনি। ২১ জুলাই সেই রিপোর্ট নেবেন খোদ অভিষেক।
ডায়মন্ড হারবারের মতো কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ির জন্য ‘এক ডাকে অভিষেক’ নামে হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হল এবার। এদিন দোমহনী এলাকার বাজার পরিদর্শনেও যান অভিষেক। দীর্ঘদিনের আরজি সত্ত্বেও বাজার নির্মাণের কাজ করেনি জেলা পরিষদ, এই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তরা বর্মনকে কড়া ভর্ৎসনা করেন তিনি। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেন অভিষেক। মানুষের কথা শুনে, মানুষের জন্য কাজ করেই যে পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের আসন নিশ্চিত করতে হবে, সে কথা এদিন দলীয় কর্মীদের সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।