সন্দেশখালি নিয়ে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর। বাম-বিজেপির পর এলাকায় যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। গ্রেপ্তার না করলে হাজিরায় রাজি, আর্জি শাহজাহানের। সন্দেশখালির পথে বাধার মুখে রাজ্যপালের কনভয়। পায়ে পড়ে কান্না নির্যাতিতাদের, আশ্বাস বোসের। বিক্ষোভ বিধানসভায়, সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৬ বিধায়ক। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেবে রাজ্যই। দেবের ‘আবদারে’ রাজি মমতা। পাঁচ লক্ষ সরকারি চাকরির ঘোষণা নেত্রীর, নিয়োগ জট নিয়ে তোপ বিরোধীদের। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও শুনুন: 10 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
বিস্তারিত খবর:
1. উত্তপ্ত সন্দেশখালি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আরামবাগ যাওয়ার পথে তিনি বলেন, ”ওখানে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি সকালে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের ওখানে পাঠিয়েছিলাম। ওঁরা দেখে এসে রিপোর্ট দিয়েছেন।” এদিন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সদস্যরা সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। এরপরেই উত্তপ্ত এলাকায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মঙ্গলবার শাহজাহান-গড় সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার বাইরে থাকা এলাকায় যাচ্ছেন দুই তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামী। তৃণমূলের তরফে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। আর ১৪৪ ধারা ওঠার পর সেই দিনই সন্দেশখালিতে শান্তিসভা করবে তৃণমূল।
এদিকে এখনও নিখোঁজ সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। গ্রেপ্তার করা হবে না কথা দিলে তবেই হাজিরা দেবেন তিনি, এই মর্মে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু আগাম জামিনের অনুমতি বা রক্ষাকবচ মেলেনি শেখ শাহজাহানের।
2. অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে পৌঁছতে গিয়েই বাধার মুখে পড়লেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবিতে আটকানো হল তাঁর কনভয়। কালো পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যায় রাজ্যপালের গাড়ি। এদিকে সন্দেশখালিতে পৌঁছে স্থানীয় মহিলাদের অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন রাজ্যপাল। শিবু, শাহজাহানদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, জমি লুঠের মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতারা। তাঁদের অভিযোগ শোনার পর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “গুন্ডারা বাড়িতে ঢুকে মহিলা, শিশুদের হেনস্তা করছে। সন্দেশখালিতে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটছে। সংবিধানের আওতায় থেকে আমার পক্ষে যা সম্ভব তেমন লড়াই করব।”
অন্যদিকে সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা। ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা টি-শার্ট পরে অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। তার জেরে সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী সহ ৬ বিজেপি বিধায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সরব বিরোধী দলনেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।