বকেয়া ইস্যুতে এবার মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সাক্ষাতের আবেদনে সাড়া মোদির। রাজধানীতে বৈঠকের সম্ভাবনা আগামী ২০ ডিসেম্বর। ঘুষ নিলে ছাড় পাবেন না সরকারি আধিকারিকরা। শিলিগুড়ি থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। রেশন দুর্নীতিতে চার্জশিট পেশ ইডির। মূল অভিযুক্ত বাকিবুর, নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়রও। উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার শূন্যপদের কাউন্সেলিং বন্ধ নয়। হাই কোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদনে মিলল সাড়া। বকেয়া ইস্যুতে এবার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় দিল্লিতে দুজন বৈঠকে বসবেন বলেই জানা যাচ্ছে।
রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে বারেবারেই সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতানেত্রীরা। কিন্তু এখনও সমাধান সূত্র অধরাই। এই পরিস্থিতিতে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ও আবাস যোজনার বকেয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেও চেয়েছিলেন তিনি। সেই প্রস্তাবেই সাড়া মিলেছে এবার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীতে উড়ে যেতে পারেন মমতা। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি শরিকদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। আর এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও রাজ্যের প্রাপ্য আদায় নিয়ে আলোচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
2. ঘুষ নিলে ছাড় পাবেন না সরকারি আধিকারিকরা। শিলিগুড়ি থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে BLRO-দের উদ্দেশে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
বহুদিন ধরে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তা কানে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীরও। আর তার পরই তিনি নিজে এই দপ্তরের কাজের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে জমিহারাদের জমির পাট্টা বিলির কাজ চলছে। সরকারি উদ্যোগে এই কাজে কোনওরকম গরমিল পেলে অভিযোগের তির উঠছে BLRO-দের দিকেই। আর তা নিয়েই শিলিগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”কয়েকজন BLRO অবৈধ কাজে যুক্ত হচ্ছে। জমির পাট্টা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। মুখ্যসচিবকে বলছি, অভিযোগ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।” এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, “কোনও রাজনৈতিক নেতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে, তা ফলাও করে সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়। কিন্তু কোনও সরকারি আধিকারিক ঘুষ নিলে, তা চাপা পড়ে যায়। আমি বলছি, আমাদের রাজ্যে কোনও সরকারি আধিকারিক ঘুষ নিলে কিন্তু ছাড় পাবেন না।” লোকসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রেখেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।