আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। ৭ দিনের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন পুলিশকে। CBI-কে কটাক্ষ করেও তদন্তে রাজি মমতা। লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে আর জি কর থেকে পদত্যাগ। ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বহাল সন্দীপ ঘোষ। ‘৬ দফা দাবি না মিটলে কর্মবিরতি চলবে’। হুঁশিয়ারি আর জি করে, দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক। দ্রুত পদক্ষেপের দাবি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আপাত স্বস্তি। পাঁচ বছরে সবচেয়ে কম বৃদ্ধির হার, খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াল ৩.৫৪ শতাংশ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আর জি কর কাণ্ডে অপসারিত সুপার, দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের
আরও শুনুন: 10 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আর জি কর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসি চান মমতা, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে ধৃত
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন হেনস্তা ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোমবার সোদপুরে, তাঁর বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় আর জি করের ভিতরের কারও হাত রয়েছে কি না, তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। জানালেন, “চেস্ট বিভাগের এইচওডি, পুলিশ পোস্টের এসিপি, এমএসভিপি, সিকিউরিটিকে সরিয়ে দিয়েছি।” এই ঘটনার আসল দোষীকে খুঁজে বের করাই যে লক্ষ্য, তা আরও একবার স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, কাউকে ছাড়া হবে না। তরুণী চিকিৎসকের যে সহকর্মী, বন্ধু, সেদিন যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রুত তদন্তের কিনারা হোক। তবে বেঁধে দিলেন তদন্ত শেষ করার ডেডলাইন। সন্তানহারা মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “আমি পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। যদি দেখা যায় কূলকিনারা করতে না পারে, তাহলে এই মামলা আমরা আর নিজেদের হাতে রাখব না। সিবিআইকে দিয়ে দেব।” যদিও এরপর সিবিআই-এর সমালোচনা করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাপসী মালিক, রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, রিজওয়ানুর রহমানের মতো মামলায় কিছু করতে পারেনি সিবিআই। তবে মানুষের দাবি মেনেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে মামলা তুলে দিতে আপত্তি নেই, বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
2. তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল আর জি কর হাসপাতাল। পদত্যাগ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। যদিও লাগাতার আন্দোলনের জেরে অপমান, লাঞ্ছনার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, “আমাকে তাড়াতে ছাত্র আন্দোলনে উসকানি দেওয়া হয়েছে।”
আন্দোলনের শুরু থেকেই অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। দুর্নীতির অভিযোগে সরব পড়ুয়া-শিক্ষকদের একাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখে স্বেচ্ছায় বলে দাবি করলেও, এই পদত্যাগ আসলে চাপের মুখে নতিস্বীকার। তবে সোমবার সকালে পদত্যাগ করে বিকেলেই নতুন দায়িত্ব নিলেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে স্থানান্তর করা হয়েছে। বস্তুত এদিনই নির্যাতিতার বাড়ি থেকেই অধ্যক্ষকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আর জি করের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন দিনকয়েক ধরে তিনি নিজে ও তাঁর সন্তানেরা মানসিক চাপে রয়েছেন। আমরা তাঁকে বুঝিয়ে বলেছি, ওখানে কাজ করতে হবে না। অন্যত্র কাজ করবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা অনুযায়ী বিকেলেই সন্দীপ ঘোষকে পুনর্বাসন দেওয়া হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হচ্ছেন স্বাস্থ্যভবনের ওএসডি সুহৃতা পাল। আর ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অজয় রায়কে আনা হল ওএসডি পদে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।