জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার ডাক নবান্নের। পালটা একাধিক শর্ত আন্দোলনকারীদের। নেপথ্যে কি রাজনীতি? প্রশ্ন চন্দ্রিমার। পিছল নবান্নের মেগা বৈঠক। মেডিক্যাল কলেজের MSVP-অধ্যক্ষদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর জি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের তদন্তে জোর সিবিআই-এর। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে চার জুনিয়র চিকিৎসক।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. স্বাস্থ্যভবনের সামনে চিকিৎসকদের অবস্থানের ২৪ ঘণ্টা পার। পেরিয়েছে সুপ্রিম ডেডলাইন, তবে ৫ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনের সামনেই অবস্থানে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের নামে জুনিয়র চিকিৎসকরা যে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন, সেটার নেপথ্যে রাজনীতি নেই তো? এবার নবান্নে বসে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য এদিন ডেকেছিল নবান্ন। মুখ্যসচিবকে পালটা ইমেল করে আন্দোলনকারীরা জানান, ৩০ জন প্রতিনিধি যাবেন নবান্নে। আলোচনা হবে তিন স্বাস্থ্যকর্তার পদত্যাগ-সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আলোচনার লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। বৈঠকে থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিকিৎসকদের শর্ত মানতে নারাজ রাজ্য। চন্দ্রিমার বক্তব্য, “রাজ্য সরকার খোলা মনেই আলোচনায় বসতে চায়। আমরা চাই ওই মেয়েটির পরিবার বিচার পাক। কিন্তু যেভাবে শর্ত আরোপ করা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে পিছনে কোনও রাজনীতির খেলা রয়েছে।” যদিও পালটা চিকিৎসকদের বক্তব্য, রাজনীতির নয়, এই আন্দোলন মনুষ্যত্বের।
2. পিছিয়ে গেল নবান্নের মেগা বৈঠক। ১২ তারিখের বদলে আগামী সপ্তাহে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলির উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এই বৈঠক পিছনো হল।
রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কার্যত অচলাবস্থা চলছে। এখনও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১২ তারিখ, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনারেটের সিপি, এমএসভিপি, সিএমওএইচদের। তবে বুধবার সেই বৈঠকের দিন পিছিয়ে দিল নবান্ন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।