রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বদলের নামে চক্রান্ত কেন্দ্রের। ঘুরপথে আনা হচ্ছে নাগরিক বিরোধী আইন। নয়া আইনের খসড়ায় আপত্তি তুলে কেন্দ্রকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে সিজিওতে হাজিরা রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমবার নিয়োগ মামলায় তলব অভিষেক-পত্নীকে। সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে চলল জিজ্ঞাসাবাদ। কামদুনি কাণ্ডে চ্যালেঞ্জ কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে। সুবিচারের দাবিতে এবার দিল্লিতে প্রতিবাদীরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ছক্কার মালিক রোহিত। ভাঙলেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও। আফগানদের বিরুদ্ধে ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ছুটছে ভারত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বদলের নামে ঘুরপথে আরও নিষ্ঠুর এবং অবদমনকারী আইন আনছে কেন্দ্র, যা আদতে নাগরিক বিরোধী। বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়ার তিনটি বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৎপরতায় প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় বিল পরিবর্তনের কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত তিনটি আইনের পরিবর্তিত খসড়া তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই তিনটি বিল পাশ করিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র, জানা গিয়েছে এমনটাই। আর তারপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “এই প্রচেষ্টার মধ্যে চুপিসারে অত্যন্ত কড়া এবং কঠোর নাগরিক বিরোধী বিধি প্রবর্তনের একটি গুরুতর প্রচেষ্টা রয়েছে।’’ এর পরেই তাঁর অভিযোগ, ‘‘আগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ছিল। তা প্রত্যাহারের নাম করে, প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আরও কঠোর এবং স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে, যা নাগরিকদের আরও মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’’ বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক দল ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে, খোলনলচে বদলে ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে আরও কঠোর করতে সক্রিয় হয়েছে মোদি সরকার। এবার কার্যত সেই অভিযোগের সুরেই কেন্দ্র সরকারকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. কামদুনি কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ। সুবিচারের দাবিতে এবার দিল্লিতে মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালরা। তাঁদের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও যোগ দিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে চার দোষীর মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের ঢেউ যে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন মৌসুমী-টুম্পারা। এদিন টুম্পা কয়ালের বিস্ফোরক দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকার বড় বড় আইনজীবীর সাহায্য নিচ্ছে। তবে কামদুনি কাণ্ডের ক্ষেত্রে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে হালকা চালে এই মামলা লড়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার গলাতেও একই সুর। সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করার উদ্দেশেই দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। আইনি সহযোগিতার জন্য প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে কামদুনির প্রতিবাদীদের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।