রাতভর জেরার পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার মানিক ভট্টাচার্য। পেশ করা হল আদালতে। আদালত চত্বরে জুতো হাতে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। হাই কোর্টে ধাক্কা ইডির। কলকাতাতেই জেরা করতে হবে গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত সায়গল হোসেনকে। খারিজ দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আরজি। কয়লাপাচার কাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না সিআইডি। বিসিসিআই ছাড়ছেন মহারাজ। ১০ বছর পর ফের পাকিস্তানে মালালা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- মা লক্ষ্মী সেজে ধরনামঞ্চে অভিনব প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবার রাতভর জেরার পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। জোকা ইএসআইতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মানিককে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সময় ‘চোর’ স্লোগান তুলে, হাতে জুতো নিয়ে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভে শামিল হলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরাও।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোড়া থেকেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার আদালতে ইডির আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকার পাহাড়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো চিঠি উদ্ধার হয়েছে মানিকের কাছ থেকে। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কম্পিউটারের ফোল্ডারে ৬১ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম ছিল যার মধ্যে ৫৫ জন বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছে। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্র বলছে, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সন্দেহজনক ছিল, বহু চ্যাট মুছে ফেলা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা, যা পর্ষদ তুলে দিয়েছিল শিক্ষাদপ্তরের হাতে, তা নিয়ে আর কে নামে জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সূত্র মিলেছে। এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু সেসবের রেকর্ড নেই। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, এমনই অভিযোগ করে এবার মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করল ইডি।
2. হাই কোর্টে বড় ধাক্কা ইডির। গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আরজি খারজি করে দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে কলকাতায় জেরা করা যাবে সায়গলকে। এদিকে গরু পাচার মামলায় আরও তথ্যের খোঁজে সঞ্জীব মজুমদার নামে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এক চালকল মালিক তথা তৃণমূল নেতাকে জেরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ৯ জুন দফায় দফায় জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। এদিকে গত শুক্রবার আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর সায়গলকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গ্রেপ্তারের পরই সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। আসানসোল আদালতের বিশেষ বেঞ্চে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আরজিও জানিয়েছিলেন আধিকারিকরা। কিন্তু মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই আদালত প্রশ্ন তোলে, কেন দিল্লি নিয়ে যেতে হবে সায়গলকে? কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদে কী সমস্যা? পরে হাই কোর্ট জানিয়েছে, আসানসোল আদালতের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হবে না। পাশাপাশি সঠিক প্রোডাকশান ওয়ারেন্ট ছাড়া দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে না। তবে দিল্লি আদালতে আবেদন করতেই পারে ইডি। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে রাজ্যে থেকে সায়গলকে জেরা করতেই পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।