ভুল স্বীকার করেই কোচবিহারে পালাবদলের ডাক অভিষেকের। পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কর্মীদের কড়া বার্তা। বিএসএফের গুলিচালনা ইস্যুতে তোপ কেন্দ্রকেও।জমি বিতর্কে বিশ্বভারতীকে পালটা চিঠি অমর্ত্য সেনের। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিবৃতি রাজ্যপালের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা রাজ্যপালের। বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরা সফরে প্রধানমন্ত্রী। স্পিনার ঝড়েই নাগপুর টেস্ট জয় টিম ইন্ডিয়ার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাম জমানার ক্ষত সারাতে শিল্পে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ রাজ্যের
বিস্তারিত খবর:
1. দলীয় নেতাদের ভুলেই মুখ ফিরিয়েছিল মানুষ। তাই জনসংযোগকে হাতিয়ার করেই কোচবিহার থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েই এবার ‘পালাবদলের’ ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার কলেজ ময়দানের মাঠে জনসভায় দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাদের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে প্রকাশ্যেই আক্ষেপ করেন অভিষেক। তাঁর নাম করে ২০১৮ সালে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিক। যা জানার পরই তাঁকে বহিষ্কার করে দল। এরপরই অভিষেকের খোঁচা, “আমরা যাঁকে বহিষ্কার করি, বিজেপি তাঁদেরই নেয়।” পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থী বাছাই নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে তাঁরাই প্রার্থী হবেন। কোনও দিদি বা দাদার বোতল-ব্যাগ বয়ে প্রার্থী হওয়া যাবে না।” দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “কাল থেকে বাড়ি-বাড়ি মানুষের কাছে যান। তাঁদের কথা শুনুন।” আর এদিনের সভা থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ শুরু করে দিলেন অভিষেক। বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবক প্রেমকুমার বর্মনের পরিবারকে তুলে আনলেন মাথাভাঙার মঞ্চে। কান্নায় ভেঙে পড়া তাঁর মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দিলেন নিজের রুমাল দিয়ে। নিহতের বাবা, দাদাকে এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়ে আরও একবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাই বলে এদিন ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
2. বাংলা ভেঙে আলাদা রাজ্য করা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক বিজেপি। কোচবিহারের সভা থেকে বিরোধীদের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কোচবিহারের সভা থেকে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষের মধ্যে বাংলা ভাগের বিষ ঢোকাতে চেয়েছিল বিজেপি। রাজনৈতিক স্বার্থ পূর্ণ করতেই নির্লজ্জভাবে মাঠে নেমেছিল তারা। এরপরই অভিষেক বলেন, “যারা বলে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য চাই, কেন্দ্রশাসিত এলাকা চাই। তাদের বলছি, ২৪ ঘণ্টা নাও, ৪৮ ঘণ্টা নাও, ৯৬ ঘণ্টা নাও, ১ সপ্তাহ কিংবা ১ মাস সময় নাও, তবে আলাদা উত্তরবঙ্গ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করো।” একইসঙ্গে অভিষেকের সাফ কথা, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত যে সমস্ত নেতা রয়েছেন, দিলীপ ঘোষরা, আর সর্বভারতীয় নেতা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা, তাঁরা এক মঞ্চে আসুন, এসে বলুন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করব। পরদিন থেকে আমি মুখ দেখাব না।” তাঁর দাবি, বিজেপির শীর্ষ নেতারা কোনও রাজ্য ভাঙার পক্ষে নয়। পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিজেপি নেতা রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্যভাগের ভাবনা উসকে দিচ্ছেন। এদিনের সভা থেকে অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, গৌড়বঙ্গ হয় না। একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ।” বঙ্গ বিজেপি যাই বলুক না কেন, বরাবরই বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল। এদিন কোচবিহারের সভা থেকে ফের সেই সুরেই সুর মেলালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।