ধরনা কর্মসূচির পরেও মিলল না সুরাহা। সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা আগামী ২৪ এপ্রিল। তৃণমূলের জাতীয় স্বীকৃতি খোয়ানো নিয়ে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। পালটা দিলেন কুণাল ঘোষ। বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত বারাসত। বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর। জখম অন্তত ৫ পুলিশ কর্মী। কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই স্বস্তি বিরোধীদের। আগাম গ্রেপ্তারি আইন ঔপনিবেশিক। আইন ব্যবহারে কেন্দ্রকে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় নায়ক রিঙ্কু সিং, রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জয়ী নাইটরা
বিস্তারিত খবর:
1. শীর্ষ আদালতে আবারও পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। এদিন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি শুরু হওয়ার পরই তাঁরা শুনানি স্থগিত করে দেন। পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা আগামী ২৪ এপ্রিল। ফলে বকেয়া আদায়ে সবুজ সংকেত মিলল কি না, তার জন্য আরও ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ডিএ আন্দোলনকারীদের।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার রাজধানীর বুকে আন্দোলন শুরু করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু দুদিনের ধরনা কর্মসূচির পরও হতাশই হতে হল তাঁদের। এদিকে এবারের সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন না ডিএ আন্দোলনকারীরা। ডিএ আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কনভেনার ভাস্কর ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ব্যস্ততার কারণে এখনই সময় দিতে পারবেন না রাষ্ট্রপতি। তবে উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা আছে তাঁদের। আন্দোলনমঞ্চে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ছাড়াও শূন্যপদ পূরণ, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ-সহ একাধিক দাবি রয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের। দাবি আদায়ের জন্য দিল্লিতে তাঁদের কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
2. তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারাতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু চাপানউতোর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ রাজ্যের শাসকদলের এই স্বীকৃতি হারানোকে বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “দুর্নীতির জন্য কেউ আর তৃণমূলকে ভোট দেয় না। সারা দেশে এদের কোনও প্রভাব নেই। এখন জাতীয় দলের তকমা হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গেই অস্তিত্বের লড়াই।” ঘাসফুল প্রতীকের আর অস্তিত্ব থাকবে না বলেও তোপ দিলীপের। বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যে স্বভাবতই ফুঁসে উঠেছে তৃণমূল। দলের তরফে পালটা দিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়ে এত সহজে পিছু হঠবে না তৃণমূল। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের উল্লাস দিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্পের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত হওয়ার কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।