গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় ২০ কোটি নগদ। রাজ্য-কেন্দ্র সায়েন্স কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’। ত্রিপুরায় বড় দায়িত্ব পেলেন বিপ্লব দেব। নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাইয়ের উপর হামলার অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ অমিত শাহ। আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রিটেনের সিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত হলেন ততীয় চার্লস।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 সেপ্টেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- মিলল না প্রমাণ, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বেকসুর খালাস অনুব্রত
বিস্তারিত খবর:
1. ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি। রাত পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিলেছে সোনার গয়নাও। শনিবার সকালে গার্ডেনরিচ, পার্কস্ট্রিট, নিউটাউন চত্বরের একাধিক বাড়ি, অফিসে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা। সূত্রের খবর, মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা চক্রের হদিশ পেতেই ইডির এই অভিযান। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ির খাটের তলায় নোটের পাহাড়ের হদিশ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হাঁড়ির মধ্যেও নোটের তাড়া লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। টাকা গুনতে ব্যাংক থেকে আনা হয় টাকা গোনার ৮টি মেশিন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫০০ এবং ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিলে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এদিন ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে ইডির হানা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, তাঁদের ভয় পাওয়াতেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ইডির হানার চলছে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, এসব করে তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা আর বিজেপির বিরুদ্ধে না লড়াই করে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে বলে জানায় ইডি। তাঁরা যাতে বাংলায় ব্যবসা না করে ওদের রাজ্যে গিয়ে ব্যবসা করে তা সুনিশ্চিত করতেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি ফিরহাদের। বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মেয়র।
2. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে এবার ধ্বনিত হল দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর বিখ্যাত স্লোগান। জয় জওয়ান, জয় কিষান’-র কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। শনিবার ভিডিও বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্য-কেন্দ্র সায়েন্স কনক্লেভে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখানেই তাঁকে এই কথা বলতে শোনা যায়। তিনি বলেন, নতুন ভারত এগিয়ে চলেছে ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান’ মন্ত্র নিয়ে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারতের উন্নয়নে বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। যা সমস্ত অঞ্চল ও সমস্ত ক্ষেত্রের উন্নতিতে অগ্রণী হয়ে উঠেছে।” এদিন দেশের বিজ্ঞানীদের প্রশংসায় বারবার পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, “দেশের মেধাবী সন্তানরা আমাদের গর্বিত করেছেন। ভারতের বিজ্ঞানীরা অসাধ্য সাধন করছেন। যে সময় থেকে আমরা আমাদের বিজ্ঞানীদের সাফল্য উদযাপন করতে শুরু করেছি, সেই সময় থেকেই বিজ্ঞান আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর এই স্লোগান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অর্ধ শতকের বেশি সময় পেরিয়ে ফের দেশের আরেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফিরে এল সেই স্লোগান। দু’দিনের সায়েন্স কনক্লেভ চলবে শনি ও রবিবার। আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে আয়োজন করা হয়েছে এই সম্মেলনের। মনে করা হচ্ছে, এই ধরনের কনক্লেভের মাধ্যমে দেশ ও রাজ্যের মধ্যে বিজ্ঞান সাধনার সংযোগ আরও দৃঢ় হবে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।