বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ রাজ্যপালের। রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে কথা বললেন কেন্দ্রের সঙ্গে। আনন্দ বোসের চিঠির পালটা ধন্যবাদ অভিষেকের। ‘ভুল হতেই পারে’, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি রাজ্যের। কেন্দ্রের হলফনামা চাইল হাই কোর্ট। পুজোর আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে। শুষ্ক থাকবে আবহাওয়াও, জানাল হাওয়া অফিস। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মৃত্যু নিয়ে ছড়াল গুজব।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 08 অক্টোবর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- জোড়া হানা সিবিআই-এর, ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে চলল তল্লাশি
বিস্তারিত খবর:
1. বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। চিঠি লিখে সে কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। সেই চিঠি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া থাকা নিয়ে জোর আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল। দিল্লি অভিযানের পর রাজ্যে ফিরে রাজভবনের সামনে ধরনা দিয়েছিলেন অভিষেক-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয় আনন্দ বোসের। বঞ্চিতদের লেখা ৫০০ চিঠি ও স্মারকলিপি রাজ্যপালকে জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ফিরে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “রাজ্যপালকে আমি বলি, আপনি সময় নিন। কেন্দ্রের কাছে জানুন কেন টাকা বন্ধ। রাজ্যপাল কথা দিয়েছেন, ২ সপ্তাহ নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের জবাব জানাব।” তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পরই দিল্লিতে উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার প্রায় ১ ঘণ্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের স্মারকলিপির বিষয়ে কেন্দ্রকে তিনি জানিয়েছেন, এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস।
2. কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। রাজ্যের বঞ্চিতরা যাতে যে কোনও মূল্যে প্রাপ্য টাকা পান, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই জানালেন রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল। একইসঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, কাজের ক্ষেত্রে কিছু ভুল থাকতে পারে রাজ্যের তরফেও।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে। এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে আরেকটি মামলা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতি। এদিন দুটি মামলারই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে রাজ্যের এজি বলেন, রাজ্য চায় আসল উপভোক্তারা যেন প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু রাজ্য যে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ পাঠিয়েছিল, এক বছর পেরিয়ে গেলেও কেন তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাল না কেন্দ্র, পালটা প্রশ্ন তাঁর। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।