ডিসেম্বরে রাজ্যে অশান্তি হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ প্রশাসনকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। ধর্ম দেখে ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ নয়। ভোটার তালিকা নিয়ে ফের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। নন্দীগ্রামে কুণালের সভায় বিশৃঙ্খলা। সভা বানচালের অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে। বাধা নেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায়। আগামী ৪০ দিন আন্দোলনের ছাড়পত্র দিল আদালত। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ভারতের। নির্বিষ বোলিং-এ হাতছাড়া ফাইনালের টিকিট।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জীবন থাকতে CAA কার্যকর নয় বাংলায়, স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. ডিসেম্বরে রাজ্যে অশান্তি হওয়ার আশঙ্কায় নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগেই দিয়েছিলেন সতর্কবার্তা। কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেই একই ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনকেও সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, “কেউ কেউ পরিকল্পনা করেছে ডিসেম্বর থেকে কমিউনাল যুদ্ধ লাগাবে। কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই লাগিয়েছে। ওদের এটাই একমাত্র পথ। এটা বাঁচার পথ নয়। চৈতন্যদেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, জীবনটা শান্তির পথ। জীবনটা শান্তির আলো দেখার পথ।” এর আগে একাধিক বিজেপি নেতার মুখে এই ডিসেম্বর-অশান্তির কথা শোনা গিয়েছিল। তারপরই মন্ত্রীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পুলিশ-প্রশাওনকেও একই ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন। পাশপাশি পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে অস্ত্রের আমদানি হচ্ছে কিনা সে দিকেও কড়া নজর রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “ভিআইপি গাড়ি করে যেন রাজ্যে অস্ত্র না ঢোকে। কেউ কেউ ভিআইপি প্রোটেকশন নিয়ে গাড়ির আড়ালে অস্ত্র আনছে। এসব দিকে নজর রাখতে হয়।” কোনওরকম সন্দেহজনক ঘটনা ঘটলে তা পুলিশের নজরে আনতে হবে বলেই জানান তিনি। ভোটের মুখে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে অটুট থাকে এদিন সে ব্যাপারেই বিশেষ করে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা কমায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এবার ভোটকর্মীদের এই নিয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ধর্ম দেখে কারোর নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ভোটকর্মীদের। বুধবারই ২০২৩ সালের জন্য রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা যাচ্ছে এক বছরে ভোটারের সংখ্যা বাড়ার বদলে ১২ হাজার ৫৭৭ জন কমে গিয়েছে। তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিজেপি অনেক জায়গায় ৩০ শতাংশ ভোটারের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। আপনাদের নিজেদের দেখতে হবে আপনার নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা।” এদিন আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভোটকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা ভোটার তালিকায় নাম তুলছেন, তারা নিয়ম মেনে তুলবেন। যাদের ১৮ বছর বয়স হয়েছে, বা হতে যাচ্ছে তাদের নাম যেন বাদ না যায়। সবার নামটা দয়া করে ভোটার তালিকায় তুলবেন। কারও নাম অন্য ধর্মের বলে বাদ দেবেন না।” মমতার অভিযোগ, “একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় কোনও কোনও জায়গায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে নয়, অন্য রাজ্যে। এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অনেক ক্ষেত্রে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারেই ভোটকর্মীদের সতর্ক করলেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।