হাই কোর্টে এজলাস বয়কট কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি সুকান্তর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ এক তারকা-সহ ২ BJP বিধায়কের। শিল্পে বিনিয়োগ টানতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বসবাসের অযোগ্য যোশিমঠ, ঘোষণা উত্তরাখণ্ডের, উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী
বিস্তারিত খবর:
১। হাই কোর্টে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ। আদালতের দরজা আটকে আইনজীবীদের এজলাসে ঢুকতে বাধা, বিচারব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে রুল ইস্যু করে মামলা পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে। পাশাপাশি, সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবারের বিক্ষোভের পর মঙ্গলবারও এই নিয়ে চলতে থাকে জটিলতা। এদিন বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নেয় বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট করার। সেই মর্মে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠিও পৌঁছয়। যা দেখে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। বার অ্যাসোসিয়েশন কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিকে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এনিয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। এভাবে বিচারব্যবস্থাকে বিড়ম্বনার মুখে ফেলায় তিনি যথেষ্ট বিরক্ত বলেও জানিয়েছেন। মঙ্গলবারও বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হন আইনজীবীরা। এদিকে সোমাবারে আদালতের ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজুর কথাও বলেন অন্য কয়েকজন আইনজীবী। প্রধান বিচারপতর ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু হয় এদিন। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। একদিকে ছিল বয়কট বিরোধী ও অন্যদিকে বয়কটপন্থী আইনজীবীদের ভিড়। দরজার বাইরে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি হতেও দেখা যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে নিরাপত্তাও এদিন আরও বাড়ানো হয়। এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেরন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর। তবে এভাবে এভাবে বিচারব্যবস্থাকে ভয় দেখানো যাবে না বলেই অভিমত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
২। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা তোলা নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বিষয়ে তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্তরাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা দিয়েছে তৃণমূলকে। কটাক্ষের সূত্রপাত নির্বাচন কমিশনের কাছে সদ্য জমা দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট। যেখানে দেখা গিয়েছে, ২০২০-২২ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডে এরাজ্যের শাসকদলের রোজগার বেড়ে গিয়েছে ১২ গুণ। এদিন তৃণমূলের এই রেকর্ড আয়বৃদ্ধি নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, ওদের আয়করে দেখাতে হবে। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” এছাড়াও বিরোধী দলনেতার দাবি, “যারা তৃণমূলকে টাকা দিয়েছে তাদের সবার তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে। সবাই চোর।” শুভেন্দুর এই কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। শাসকদলের বক্তব্য, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি, আসলে তৃণমূল দল হিসাবে বড় হচ্ছে। তাতেই গাত্রদাহ হচ্ছে শুভেন্দুর। তৃণমূলের সমৃদ্ধিতেই বিজেপির এত সমস্যা হচ্ছে বলেই পালটা কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।