প্রাথমিক স্কুল খোলা নিয়ে ভাবনাচিন্তা সরকারের। ২ লক্ষ উদ্বাস্তু মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল জমির দলিল। পুরভোটে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত। বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। গরুপাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব সিবিআইয়ের। দেশের কমল করোনা সংক্রমণ। উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারে সশরীরে হাজির মোদি। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে জামিন মন্ত্রী-পুত্রের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অখিলেশের প্রচারে লখনউয়ে মমতা, কড়া ভাষায় বিঁধলেন যোগীকে
বিস্তারিত খবর:
1. করোনার তৃতীয় ঢেউ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই খুলেছে স্কুল। শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন ক্লাস। কিন্তু এখনও প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস চলছে অনলাইনেই। করোনা পরিস্থিতিতে শিশুশিক্ষা নিয়ে একদিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কবে খুলবে স্কুল? অভিভাবকদের মাথাতেও ঘুরছে সেই একটাই প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার একটি সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উদ্বাস্তুদের জমির দলিল বিলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই প্রাইমারি স্কুল খোলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “আপাতত কয়েকটি ক্লাস হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় চলছে। প্রাইমারি অর্থাৎ একেবারে ছোটরা এখনও স্কুলে যাচ্ছে না। এবার সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, করোনার আরও একটা স্ট্রেন এসেছে। সে বিষয়টা ভাল করে দেখে নিয়ে স্কুল খোলা হবে।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত ছোটদের স্কুল খোলা হলে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করার চিন্তাভাবনা চলছে। রোটেশনে ক্লাস নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. প্রতিশ্রুতিমতো রাজ্যের উদ্বাস্তুদের মাথার উপর ছাদ পাকা করতে জমির স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে জমির দলিল পেলেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। মতুয়ারাও জমির পাট্টা পাবেন, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিনের সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি ফের ভূমি সংস্কার দপ্তরকে কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করলেন। আধিকারিকদের উদ্দেশে তাঁর কড়া বার্তা, ”মানুষ বিভিন্ন কাজে প্রায়শয়ই ভূমি দপ্তরের দ্বারস্থ হন। আপনারা তাঁদের ফিরিয়ে না দিয়ে কাজটা করে দেবেন। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার নয়, নিয়ম মেনে কাজ করবেন।”
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উদ্বাস্তুদের সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয় জমির দলিল। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তাঁর সরকার উদ্বাস্তুদের জন্য কী কী কাজ করেছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। মতুয়াদেরও জমি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এরপরই ভূমি সংস্কার দপ্তরকে কড়া বার্তা দিলেন। প্রসঙ্গত, জমির পাট্টা বিলির কাজকর্ম ভূমি সংস্কার দপ্তরের অধীনেই হয়ে থাকে। তাই সেই কাজ যাতে মসৃণভাবে হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।