সুপ্রিম কোর্টে তিন মাস পিছোল আর জি কর শুনানি। বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি। সন্দীপের বিরুদ্ধে চার্জশিট নিয়ে রাজ্যকে পদক্ষেপের নির্দেশ। জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কত দূর? খতিয়ে দেখতে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী। আবাস নিয়েও মমতার ধমকে বাড়ল তৎপরতা, বালুরঘাট পুরসভা জুড়ে পরিদর্শন আধিকারিকদের। চার বছর পর চার্জ গঠন কয়লা পাচার কাণ্ডে। বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান আর নয় ‘জয় বাংলা’।নির্বাচনের দামামা মোহনবাগান ক্লাবে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. শীর্ষ আদালতে তিন মাসের জন্য পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে নতুন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ডিএনএ রিপোর্ট করা হয়েছে কি না। আর জি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে কি না, তাও জানতে চান তিনি। এদিকে আর জি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সরকারি কর্মচারী বলে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ কিংবা বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হলে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন। সন্দীপদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হলেও সাড়া মেলেনি বলে দাবি সিবিআইয়ের। তবে এদিন সিবিআইয়ের অভিযোগ শুনেই রাজ্যকে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের’ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া এদিনের শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী অনুরোধ জানান, রাজ্যের পদক্ষেপের উপর নজরদারি করতে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হোক। বিচারপতি জানান, ডাক্তারদের যাবতীয় অভিযোগ ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কাছে জানাতে হবে। এ বিষয়ে একটি ইমেল আইডি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয় ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সকে। সব খতিয়ে দেখে ১২ সপ্তাহ পরে রিপোর্ট দেবে টাস্ক ফোর্স। একইসঙ্গে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, যেহেতু ওই সংক্রান্ত মামলাটি হাই কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আগামী ১৭ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
2. জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কত দূর? খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দিঘায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউ দিঘায় নেমে সারলেন জনসংযোগও। বুধবার থেকে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করলেন তিনি। ২০১৯ সালে দিঘা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি হবে। ২২ একর জায়গা জুড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মন্দির তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সেই মন্দির নির্মাণের কাজ কতটা এগোল, এবার খতিয়ে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে তৎপরতা বাড়ল আবাস যোজনা নিয়েও। আবাস যোজনার কাজ ঠিক মতো চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে উপভোক্তাদের বাড়ি ঘুরে দেখলেন বালুরঘাট পুরসভার পুরধ্যক্ষ এবং আধিকারিকেরা। সম্প্রতি গ্রামীণ আবাস যোজনার সমীক্ষা করেছে রাজ্য। যার পুরো টাকা দেবে রাজ্য সরকার। আর এই প্রকল্প নিয়েই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, আবাস নিয়ে কোনও অভিযোগ বরদাস্ত করবেন না তিনি। সেই আবহেই আবাস প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে পথে নামল বালুরঘাট পুরসভা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।