নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। গ্রেপ্তার প্রাক্তন SSC কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহা। দুই ধৃতকেই হেফাজতে নিল সিবিআই। একপেশেভাবে বদনামের চেষ্টা করছে বিরোধীরা। সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে পালটা তোপ তৃণমূলের। মামলায় উঠে এল ৩০ বিরোধী নেতার নামও। বেকায়দায় অনুব্রত মণ্ডল। কার নির্দেশে নেতার বাড়িতে যান চিকিৎসক? বীরভূমের সিএমওএইচ-এর কাছে রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্যদপ্তরের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিজেপির সঙ্গ অতীত, তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে ফের বিহারের কুরসিতে নীতীশ
আরও শুনুন: 8 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি সিবিআই-এর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হলেন এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং এসএসসির প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা। দুই কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলেই দাবি সিবিআই-এর।
বুধবার সকালেই দুই এসএসসি কর্তার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকেরা। সেখানেই দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছিল উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে। জানা গিয়েছে, রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টেও এসপি সিনহা এবং অশোক সাহার নাম ছিল। অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিযুক্ত করা হয়েছিল সেই সময়। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে বারবার দুই কর্তাকে জেরার জন্য ডাকা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। এদিনও জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই কর্তা, এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার। এরপরই তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই।
2. সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে একপেশেভাবে তৃণমূলের বদনামের চেষ্টা করছে বিরোধীরা। অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। কেবল তৃণমূল নেতারাই নন, এই মামলায় অধীর-সূর্যকান্তের মতো হেভিওয়েট বিরোধী নেতাদেরও নাম রয়েছে বলে দাবি করল রাজ্যের শাসকদল।
বুধবার বিধানসভা থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, শিউলি সাহা ও অরূপ রায়। তৃণমূলকে একপেশে আক্রমণের অভিযোগ তুলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা। বিজেপির বি টিম হয়ে কংগ্রেস-সিপিএম আক্রমণ করছে।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে উল্লেখ করে ফিরহাদের দাবি, “পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।” এদিকে এই মামলায় এবার উঠে এসেছে বিরোধী শিবির বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেদের ৩০ নেতারও নাম। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুর দাবি, সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় নাম রয়েছে অধীররঞ্জন চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, রূপরানি মণ্ডল, তরুণকান্তি ঘোষ, চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতো, মোহিত সেনগুপ্তর মতো রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও। যদিও তৃণমূলকে এ নিয়ে পালটা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য কিংবা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বাম নেতাদের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর।
শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।