রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিদায় কুণালের। নেতার একাধিক বক্তব্যে আপত্তি, স্পষ্ট করল দল। তৃণমূলের বদলে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার দাবি করে বিতর্কে অধীর। বিতর্কিত ভিডিও ইস্যুতে খোঁচা মমতার। ভোটের হারে হঠাৎ বৃদ্ধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ মমতার।কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে মারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা। শীর্ষ আদালতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। আরও বিপাকে নিউজক্লিক।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 30 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ৪৩ ডিগ্রিতে তিলোত্তমা, সাত দশকের গরমের রেকর্ড ভাঙল কলকাতায়
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভার মাঝেই বড় বদল তৃণমূলে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানো হল কুণাল ঘোষকে। বুধবার রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক কালে কুণাল ঘোষের একাধিক মতামত অবস্থানের পরিপন্থী। কুণালের মতামতকে যেন দলের অবস্থান বলে প্রচার না করা হয়। সেটা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরানোর পর এবার ভোটের মাঝেই কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও সরানোর সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।
বুধবারই আমহার্স্ট স্ট্রিটের এক রক্তদান শিবিরে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে দেখা হয় কুণাল ঘোষের। প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে পাশে বসিয়েই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। উত্তর কলকাতায় কোনওরকম ছাপ্পা ভোট যেন না দেওয়া হয়, দলের কর্মীদের উদ্দেশে সে বার্তাও দেন তিনি। আর এদিনই সামনে এল পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা। যদিও কুণাল ঘোষ মাস দুয়েক আগেই দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেসময় দলের তরফে সরকারিভাবে তাঁর ইস্তফা নিয়ে মতামত জানানো হয়নি। এবার দলের ঘোষণার পর শীর্ষ নেতৃত্বকে কুণালের প্রশ্ন, “দল যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে আমি নিজের পরোয়া না করে সেখানে ছুটে গিয়েছি। ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিয়েছি। বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকে আমার থেকে কটু কথা কেউ কখনও বলেছে কী? যারা তৃণমূলের লড়াকু কর্মী তাঁদের প্রতিদিন অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?” তবে নিজেকে এখনও তৃণমূলেরই সৈনিক বলেই মনে করছেন কুণাল। সারা বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা যে তাঁর পাশেই রয়েছেন, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
2. তৃণমূলের বদলে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার দাবি করে বিতর্কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। এর আগেই বিজেপি, বাম, কংগ্রেস আঁতাঁতের অভিযোগে বার বার সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। অধীরের এহেন মন্তব্যে সেই দাবিতেই যেন সিলমোহর পড়ল। অধীরকে বিজেপির এজেন্ট বলেই তোপ দেগেছে শাসক শিবির। যদিও এই ভিডিওকে বিকৃত বলে পালটা দিয়েছে বঙ্গ কংগ্রেস।
এদিকে অধীরের মন্তব্য নিয়ে এবার সমালোচনায় সরব তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বড়ঞায় নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ থেকে নাম না করে অধীরকে খোঁচা মমতার। কিছুদিন আগে বহরমপুরে সভা করতে এসে অন্যান্য বিরোধীদের তোপ দাগলেও অধীর প্রসঙ্গে একটি শব্দ খরচ করেননি নাড্ডা। এ প্রসঙ্গে মমতার কটাক্ষ, “আসলে বিজেপির সবচেয়ে বড় সমর্থক অধীর।” যদিও তৃণমূলের বদলে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলে অধীর আসলে ভোট কাটার রাজনীতি করতে চাইছেন, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।