৪ বছর স্নাতকের পর ১ বছর পড়লেই মাস্টার ডিগ্রি। কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।আলোচনা ছাড়াই ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের। আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর। খারিজ সুকন্যার জামিন আবেদন, পিছোল অনুব্রতর আরজি। ‘ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তার হওয়া উচিত’, বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর। পিএসজি ছাড়ছেন লিওলেন মেসি।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর থেকেই বদলাচ্ছে স্নাতক পাঠক্রমের নিয়ম। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনার্সে স্নাতক পাঠক্রম ৪ বছরের। এবার স্নাতকোত্তরেও সময়সীমা বদলের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ৩ বছরের স্নাতক ও ২ বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালু ছিল। সবমিলিয়ে ৫ বছরে কোনও বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারতেন কোনও পড়ুয়া। নতুন নিয়মেও ৫ বছরেই স্নাতকোত্তরে শেষ হবে। প্রথম ৪ বছর স্নাতক স্তরে পড়াশোনার পর পরবর্তী ১ বছর পাঠ শেষ করলেই মিলবে মাস্টার ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার দশম ও দ্বাদশের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের পরবর্তী পড়াশোনার জন্য এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাতের পথেই হাঁটলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যকে কার্যত পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, যাদবপুর, কল্যাণী, কাজী নজরুল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ মোট ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বিদায়ী উপাচার্যদের মেয়াদবৃদ্ধি নয়, নিজের ইচ্ছামতো অধ্যাপকদের বেছে নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি তিনি। রাজ্যপালের এই একতরফা উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইটে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর কথায়,”এই উপাচার্যদের নিযুক্তি শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই হয়েছে। সেটা বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, সেটার পরিপন্থী এবং বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আমরা বিভাগীয় আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে সেটা নিয়ে।” একই সঙ্গে যেসব অধ্যাপকরা উপাচার্য পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ, তাঁরা যেন এই বেআইনি নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।