ভোটের আগে নেই বড় ঘোষণা, চমকহীন বাজেট পেশ নির্মলার। কমল তফসিলিদের বরাদ্দ, ছাড় নেই মধ্যবিত্তের করে। কাটছাঁট শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও। জনতাকে বোকা বানানোর ‘নাটক’, বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ কুণাল-অধীরের। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতেও কি ‘সঙ্ঘী’ সুর নির্মলার, সরব বিরোধীরা। প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে ফের দায়ের নয়া মামলা। প্যানেল প্রকাশের পরও অনিশ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। আগামী শুক্রবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 31 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ন্যায় যাত্রায় কাচ ভাঙল রাহুলের গাড়ির, নীতীশকে বিঁধে নিন্দা মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা ভোটের আগে কোনও বড় ঘোষণা নয়। কার্যত চমকহীন ভাবেই দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ বাজেট বা ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। আয়কর হারে মিলল না ছাড়। পরবর্তী অর্থবর্ষের জন্য সমস্ত সরকারি সম্পদের উপর ১৯ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া কর্পোরেট ট্যাক্স ১৭ শতাংশ। তফসিলি জাতি, উপজাতি ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এমনিতেই প্রয়োজনের চেয়ে বরাদ্দ কম থাকে, তবে চলতি আর্থিক বছরে সেই টার্গেটও পূরণ হয়নি। গত বছরের মূলধন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করতে পারেনি সরকার। পাশাপাশি, জিডিপির নিরিখে এবারের বাজেট থেকে প্রত্যাশা ছিল, রাজস্ব ঘাটতি কমে দাঁড়াবে ৫.৯ শতাংশে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় পরিমাণটা দাঁড়াল ৫.৮ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, মূলধন ব্যয় সংকোচনের ফলেই এই পরিসংখ্যান। খাতায়-কলমে তা সদর্থক হলেও, খরচ কমিয়ে রাজস্ব ঘাটতিতে লাগাম টানার পন্থা দীর্ঘমেয়াদে ভারতের মতো বৃহৎ অর্থনীতির পক্ষে লাভজনক নয়। এদিকে লোকসভার আগে মহিলা ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখে দেশের তিন কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ করার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ৯-১৪ বছর বয়সি মেয়েদের ‘সার্ভাইক্যাল ক্যানসার’ প্রতিষেধক টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। আর রয়েছে ১ কোটি বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ, আবাস যোজনায় ২ কোটি বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির কামব্যাকের ‘গ্যারান্টি’-র ইশারা দিয়েই কার্যত ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।
2. লোকসভা ভোটের আগে জনতাকে বোকা বানানোর জন্যই ‘অন্তঃসারশূন্য’ বাজেট পেশ করেছে মোদি সরকার। অন্তর্বর্তী বাজেট নিয়ে এই মর্মেই কেন্দ্রের প্রতি কড়া আক্রমণ শানালেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, বাজেটে বেকারত্ব ঘোচানোর কোনও উপায় বলা নেই। মধ্যবিত্তের জন্যও কোনও ছাড় নেই। এই বাজেটকে অর্থমন্ত্রীর ‘অবাস্তব নাটকের চিত্রনাট্য’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। বাংলার বঞ্চনা নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন কুণাল। তৃণমূলের সুরেই খোঁচা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও বলেন, “এটা কি চাকরিহীনদের কর্মসংস্থানের বাজেট? নাকি লোকসভা ভোটের বছরে ভুল বুঝিয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা?” অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণকে ‘ভোটের প্রচার’ বলে বিঁধতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটও। এদিকে বাজেট ভাষণে যেভাবে জন্মহার নিয়ন্ত্রণের কমিটি গড়ার কথা বলেছেন নির্মলা সীতারামণ, তাতেও সংঘের অ্যাজেন্ডার সুর শোনা যাচ্ছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। নির্মলার বক্তব্য, “দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তার জেরে সমস্যাও বাড়ছে। পালটে যাচ্ছে দেশের জনবিন্যাসও। সমস্ত সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজাই এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য।” এই বক্তব্যে আসলে মুসলিম জনসংখ্যাকেই নিশানা করছে সরকার, এই মর্মেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।