আদালতের নির্দেশেই পদক্ষেপ। ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ কমিশনের। ৬ বছর পর মিলল স্বস্তি। হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগপত্র পেলেন ৭ চাকরিপ্রার্থী। গ্রাহ্য হল না শুভেন্দুর আপত্তি। ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে অভিষেকের সভায় অনুমতি হাই কোর্টের। ‘দেশকে পথ দেখাবে বাংলা’। প্রথম ভাষণে রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা রাজ্যপালের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ডিএলএড পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে CID তদন্তের নির্দেশ নবান্নর
বিস্তারিত খবর:
১. বুধবার নির্দেশ দিয়েও প্রত্যাহার করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ফের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি নিয়োগে ভুয়ো সুপারিশপত্রের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনেই ওয়েবসাইটে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালে নবম-দশমে চাকরি পেয়েছিলেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষক। অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছিল। সুপারিশের ভিত্তিতে যোগ্যদের সরিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। এই অভিযোগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের হয়। মামলায় এসএসসি আদালতকে জানিয়েছিল, তারা এমন ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে, যাদের নাম মেধাতালিকার নীচে থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, এই ১৮৩ জনের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন তাদের তালিকা বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে SSC-কে। এদিন সেই তালিকাই প্রকাশ করল কমিশন। এদিকে এসএসসি মামলায় কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য কোনওভাবেই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। সিবিআইয়ের এই অভিযোগ শুনে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে জেরার অনুমতি দিতে পারে কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২। ৬ বছর পর পর মিলল সুবিচার, চাকরির নিয়োগপত্র পেলেন সাত চাকরিপ্রার্থী। এদিন আদালত অবমাননার নোটিস পেতেই তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালে হওয়া এসএলএসটি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভুল থাকায় জন্ম নিয়েছিল বিতর্ক। প্রথমে বুঝতে না পারলেও, ২০২১ সালে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন তাঁরা সঠিক উত্তর দিয়েও নম্বর পাননি শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভুল উত্তরপত্র তৈরি করার জন্য। যার প্রেক্ষিতে চলতি বছরে তাঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি এক নম্বর দেয়, তাহলে তারা মেধাতালিকায় নথিভুক্ত হবেন। নিয়োগপত্রও পাবেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টের শরণাপন্ন হন। শেষমেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি শেখর ববি সরাফ, বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস ঘুরে অবশেষে চাকরি পেলেন বঞ্চিতরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।