রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ। দলনেত্রী ও বর্ষীয়ান নেতৃত্বের অনুরোধে আপাতত ধরনা প্রত্যাহার অভিষেকের। কামদুনি মামলায় হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের স্পেশাল লিভ পিটিশন। সব পক্ষকে হলফনামা দিতে ৭ দিন সময় দিল শীর্ষ আদালত। ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে পাঁচ রাজ্যের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তৃতীয় মহিলা হিসাবে অর্থনীতিতে নোবেল ক্লডিয়া গোলডিনের। হামাস হামলায় আরও বিধ্বস্ত ইজরায়েল। কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভারতকে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 08 অক্টোবর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- জোড়া হানা সিবিআই-এর, ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে চলল তল্লাশি
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ। রাজভবনের সামনে থেকে ধরনা প্রত্যাহার করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, দলনেত্রী ও বর্ষীয়ান নেতৃত্বের অনুরোধে আপাতত ধরনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক। তবে রাজ্যপালকে বিশেষভাবে সময়ের শর্ত দিয়েছেন অভিষেক। সেই দাবি না মানা হলে ১ নভেম্বর থেকে ফের ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সোমবার কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৩০ জনের প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিল বঞ্চিতদের লেখা ৫০০ চিঠি। প্রতিনিধি দলেও কয়েকজন বঞ্চিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের সঙ্গে এদিন ২০ মিনিটের বৈঠক হয়েছে তাঁদের। সেখানে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তাঁরা। বঞ্চিতদের চিঠিও রাজভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা ধরনা মঞ্চে যান অভিষেক। সেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের বর্ষীয়ান নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁরা সকলেই ধরনা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁদের কথায়, রাজ্যপাল সৌজন্য দেখিয়েছেন, পালটা তাঁকেও সৌজন্য দেখানোর পথে হাঁটুক তৃণমূল। একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, ২ বছর ধরে তাঁরা সৌজন্য রক্ষা করেছেন। আরও ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। তাঁদের জানতে হবে, কোন আইনে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। তবে এমনটা না হলে ফের ধরনায় বসবেন বলেও সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
2. কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চে মামলাটি গৃহীত হয়েছে। সোমবার এই মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। মামলাটি এজলাসের ওঠার সময় এদিন সিব্বলের আবেদন ছিল, যাদের মৃত্যুদণ্ড রদ হয়েছে, তাদের মুক্তির বিষয়টি আটকে দেওয়া হোক। তাঁর যুক্তি, এটা গণধর্ষণ, খুনের মতো স্পর্শকাতর মামলা।। তাই সব দিকে বিবেচনা করে রায় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন CRPC-র ২৮৯ ও ৩৯০ ধারা উল্লেখ করে তিনি জানান, উচ্চতর আদালত চাইলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় আটকাতেই পারে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা যায় কি না, পালটা সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। একইসঙ্গে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দেন সুপ্রিম বিচারপতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।