কবে মিলবে নিয়োগপত্র? মা লক্ষ্মী সেজে ধরনামঞ্চে অভিনব প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের। নিয়োগপত্র না পেলে শুরু হবে আমরণ অনশন, দাবি বিক্ষোভকারীদের। করোনার কোপ কাটিয়ে দুর্গাপুজোয় ঘুরে দাঁড়াল বাংলার অর্থনীতি। ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা হল বাংলা জুড়ে। পরিসংখ্যান দিয়ে জানাল ফোরাম। গরুপাচার মামলায় হাওয়ালা যোগ পেল সিবিআই। আদালতে খারিজ সায়গলকে দিল্লিতে জেরা করার আরজি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘কৃত্রিম বাঁধ দেওয়া হয়নি’, মালবাজারের হড়পা বিপর্যয়ে দাবি প্রশাসনের
বিস্তারিত খবর:
১। দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজোও পথের ধারে কাটালেন চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার শহরের বিভিন্ন ধরনামঞ্চ থেকেই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলেন আন্দোলনকারীরা। এদিন ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদেরই এক সহযোদ্ধাকে জীবন্ত লক্ষ্মী সাজিয়ে দেবীর আরাধনা করলেন। সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই লক্ষ্মীরূপী ওই আন্দোলনকারীকে পুজো করা হল এদিন। চাকরিপ্রার্থীরা সাফ জানালেন, এবার নিয়োগপত্র না পেলে আমরণ অনশন নয়তো স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। শুধু ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণরাই নয়, ধনদেবীর আরাধনা করলেন এসএসসির গ্রুপ ডি পরীক্ষার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরাও। তবে তাঁদের মঞ্চে কোনও প্রতিমা ছিল না। সাদা কাগজের সামনে গাদা ফুল-মালা রেখে হল পুজো। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা জানালেন, “আমাদের চাকরি নেই। তাই ধনসম্পদ চোখে দেখতে পাচ্ছি না। ধনদেবী আমাদের কাছে অদৃশ্য। মূর্তি কেনার টাকা নেই। অগত্যা সাদা কাগজে পুজো।” অন্যদিকে হাতে একটি ছোট মূর্তি নিয়ে এদিন ধরনা চালিয়ে যেতে দেখা গেল SLST-র চাকরিপ্রার্থীদেরও।
এদিকে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ধরনায় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মঞ্চে বসে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এক বিজেপি কর্মীকে। পেশায় মাংস বিক্রেতা ওই কর্মী জানিয়েছেন, কোনও দিন টেট পরীক্ষায় বসেননি তিনি। বিজয়া দশমীর দিন এলাকার বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি ধরনামঞ্চে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। আর এ কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক উসকে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
২। করোনা মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে এবার প্রাণ খুলে উৎসবের আনন্দে মেতেছেন রাজ্যবাসী। আর তার জেরেই রাজ্যের বাণিজ্যক্ষেত্রেও মিলল সুখবর। আয়োজক সংস্থা ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, এবছরের দুর্গাপুজোয় বাণিজ্যের অঙ্ক ছুঁয়েছে ৫০ হাজার কোটি, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আইআইটি খড়গপুর, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ইংল্যান্ডের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে অর্থনীতি। আর তা এসেছে বিশেষত বিজ্ঞাপন থেকে। পুজোকে সামনে রেখে মণ্ডপ সজ্জা, প্রতিমা তৈরি, খাবারদাবারের বিকিকিনি, বিজ্ঞাপন – এসবের মাধ্যমেই আয় বাড়ে। এবছর সেই ফর্মুলাতেই উপচে পড়েছে বাংলার কোষাগার। তাছাড়া হোটেল-রেস্তরাঁ, আবগারি ক্ষেত্রেও ব্যাপক বেড়েছে ব্যবসা। বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ। এবছর দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর তরফে কালচারাল হেরিটেজের বিশেষ স্বীকৃতি দানের জন্যই লক্ষ্মীলাভ, এমনটাই মনে করছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।