রবীন্দ্রমূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন অমিত শাহ। পালটা শাহর কবিপ্রণাম নিয়ে নাম না করে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। গ্রেপ্তার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস কাশ্মীর ফাইলস নির্মাতাদেরও। সুকন্যা গ্রেপ্তার হলে জয় শাহ নয় কেন? অনুব্রতকন্যার পাশে দাঁড়িয়ে সরব অভিষেক। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের সম্ভাবনা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- লোকসভায় টার্গেট ৪০ আসন, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
আরও শুনুন: 8 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ঘৃণা ছড়াচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সরাসরি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়েই বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঠাকুরবাড়ির প্রাঙ্গণে কবিগুরুর বিশাল মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। পরিদর্শন করেন ঠাকুরবাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবিজেপির নেতানেত্রীরাও। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ। ঠাকুরবাড়ির ভিজিটার্স বুকে মন্তব্য লেখার পর সেখান থেকে পেট্রাপোল সীমান্তের উদ্দেশে রওনা দেন অমিত শাহ। রাজ্যে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে যখন একের পর এক প্রশ্ন তুলছে বাংলার শাসকদল, সেই সময়েই রাজ্যে এসে সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে শাহের বঙ্গসফরের প্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই উসকে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। জোড়াসাঁকোয় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কবিপ্রণামে রাজনীতির ছায়া দেখছে শাসকদল। মঙ্গলবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান থেকে নাম না করে শাহকে বিঁধলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ বললেন, “না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন।” এর আগে শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন অমিত শাহ, আবার কলকাতায় তাঁর নির্বাচনী সফরের সময়ই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটে। এই সব ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েই এদিন বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. গ্রেপ্তার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের সামনে থেকে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী। গ্রেপ্তারের পর ইমরানকে রেঞ্জার্স বাহিনীর জওয়ানেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, ‘‘জোর করে ইমরানকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। তাঁর আইনজীবী ফয়জল চৌধুরীও হামলার শিকার হয়েছেন।’’ তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির পর ইমরানকে হাই কোর্ট চত্বরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে রেঞ্জার্স। জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলার কারণেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আল কাদির ট্রাস্টের জমি হস্তগত করার অভিযোগ সম্প্রতি ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী মানেকার মালিকানাধীন ওই ট্রাস্ট বেআইনি ভাবে একটি বাণিজ্যিক সংস্থার থেকে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা মূল্যের জমি নিয়েছিল। ওই মামলায় আগেই তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। সেই মামলার জামিন নিতেই মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার হন তিনি। ইমরান সমর্থকদের সঙ্গে রেঞ্জার্স বাহিনীর সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আদালত চত্বর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।