জাতিগত ঘৃণা ছড়াচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখনও অগ্নিগর্ভ মণিপুরের পরিস্থিতি। কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাধারণ মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আরজি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ‘মোকা’-র মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য। ‘সাইক্লোন নিয়ে ভয় নয়’, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে রাহুলের বদলে ঈশান কিষান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘নিষ্ঠুর, বিবেকহীন’, চণ্ডীপুরে যুবকের মৃত্যুতে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের
আরও শুনুন: 7 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- লোকসভায় টার্গেট ৪০ আসন, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলাতে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই কেরালা স্টোরি, কাশ্মীর ফাইলস কিছু মানুষকে অসম্মান করার জন্য়ই তৈরি হয়। আমি সিপিএম পার্টির কথা বলছি না। কারণ, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে কাজ করছে। এটার সমালোচনা তো তাঁদেরই করা উচিত। আমি সে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, তাঁর পার্টি বিজেপিকে সাহায্য করছে। আর সেই কারণেই কেরালা স্টোরি তৈরি হচ্ছে বিকৃত তথ্য নিয়ে।” একদিকে প্রধানমন্ত্রী এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই ছবিকে বিকৃত তথ্যে ভরা ছবি বলেই সম্বোধন করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কেরলের মানুষদের অসম্মান করে এই ছবি। এরপরই রাজ্যের কোন কোন সিনেমা হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ চলছে তাঁর খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবকে একটা তালিকাও তৈরি করতে বলেন। একইসঙ্গে তাঁকে এই ছবি নিষিদ্ধ করার কথাও বলেন। মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এখানে কোনও ঘৃণা চলবে না। কোনও রাজনৈতিক, জাতিগত ঘৃণাকে আমরা প্রোমোট করব না। কোর্ট যদি বলে তবে দেখা যাবে।” এ প্রসঙ্গে পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানান, ”নিষিদ্ধ শব্দটাই ভুল। এই ছবি সেন্সর বোর্ডে পাশ হয়েছে, আর সেন্সর বোর্ডের সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ছবি দেখানো বন্ধ করা যাবে না। নিষিদ্ধ করার বিষয়টা ওঁর ব্যক্তিগত পছন্দের হতে পারে। আমরা এর বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নেব।”
2. মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, “উত্তর-পূর্ব ভারত জ্বলছে। আমরা উদ্বিগ্ন। রাজনীতি আগে না কি মানুষের জীবন?” একইসঙ্গে মণিপুরে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে কেন্দ্র। এমন অভিযোগও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলায় কিছু না হলেও ১৫১টা কেন্দ্রীয় দল পাঠায়। মণিপুরে কেন কোনও কেন্দ্রীয় দল গেল না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে, কীভাবে মণিপুরে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরানো হচ্ছে তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মণিপুর থেকে রাজ্যের ১৮ পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে সোমবারই মণিপুর ইস্যুতে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাতেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরবে রাজ্যে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।