কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদের জের। রাজ্যের ব্লকে-ব্লকে বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল। দিল্লি থেকে টাকা ছিনিয়ে আনার হুঁশিয়ারি কুণালের। পালটা কটাক্ষ বিজেপির। ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা প্রধানমন্ত্রীর। রেলের অনুষ্ঠান থেকেই বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ মোদির। লোকসভার আগে রাজ্য বিজেপিতে বিরাট রদবদল। সরানো হল ১৩ জেলা সভাপতিকে, বদল শুভেন্দুর জেলাতেও। ফের বঙ্গসফরে জে পি নাড্ডা। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবেন বাবর আজমের দল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 05 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সিপিএমের জন্যই রাজ্যে ভরাডুবি বামেদের, ব্রিগেড থেকে তোপ SUCI-এর
বিস্তারিত খবর:
1. কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজ্যের ব্লকে-ব্লকে বিক্ষোভ তৃণমূলের। রবিবার বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ব্লকে ব্লকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কর্মীরা। শিলিগুড়ি শহরের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন গৌতম দেব। কর্মসূচি পালিত হয় কলকাতা শহরের একাধিক প্রান্তে। চেতলা, খিদিরপুরে হাজির ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাগবাজারে ছিলেন শশী পাঁজা। একইসঙ্গে উলটোডাঙায় কুণাল ঘোষ ও বরাহনগরে তাপস রায়-সহ একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক-দলীয় পদাধিকারীদের এদিন দেখা গিয়েছে। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “দিল্লি থেকে হকের টাকা ছিনিয়ে আনতে হবে।” গত একুশ জুলাই সমাবেশের মঞ্চেই ৫ অগাষ্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে সভার নির্দেশ দেন তিনি। তবে আদালতের নির্দেশে কর্মসূচির দিন বদলে রবিবার করা হয়।
যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদি কাউকে বঞ্চনা করেন না। একই সুর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। বঞ্চনার অভিযোগ থাকলে দিল্লি চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজ্যের দাবি আদায়ে শাসক দল যে বদ্ধপরিকর, এদিনের কর্মসূচি তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
২। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির সংগঠনে বড়সড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হল ১৩ জন জেলা সভাপতিকে। বিজেপির তরফে আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, বারাসত, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, দক্ষিণ কলকাতা, মথুরাপুর, হাওড়া শহর, তমলুক, কাঁথি, আরামবাগ, বিষ্ণুপুর এবং আসানসোলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের বদলে দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে যে এলাকায় খারাপ ফলাফল হয়েছিল সেই এলাকাগুলিতে জেলা সভাপতি বদলেছে গেরুয়া শিবির। সভাপতি বদল হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সাংগঠনিক জেলাতেই। আনা হয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ দুই বিজেপি নেতাকে। এছাড়া তমলুক জেলা বিজেপির সভাপতি হয়েছেন তাপসী মণ্ডল, কাঁথির জেলা সভাপতি হলেন অরূপ কুমার দাস। বদলেছে পাশের পশ্চিম মেদিনীপুরের ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও।
এতদিন জনপ্রতিনিধিদের সচরাচর দলের সংগঠনে রাখা হত না। কিন্তু এবারের তালিকায় দেখা যাচ্ছে ৬ জেলায় বিধায়কদের সভাপতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞাও। তবে সামগ্রিকভাবে সংগঠনের রাশ থাকল সুকান্ত মজুদারের হাতেই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।