উদয়পুর ও জম্মু কাণ্ডে বিজেপি যোগ নিয়ে সরব তৃণমূল। অভিযোগ হিংসা ছড়ানোর, দাবি বিচারবিভাগীয় তদন্তের। প্রশ্ন নূপুর শর্মাকে আড়াল করা নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশের জের। তদন্তে গঠিত হল সিট। বদলি ১৫ পুলিশকর্মী। নবান্নে পুলিশকর্মীদের মোবাইল ব্যবহারেও জারি নিষেধাজ্ঞা। সামান্য স্বস্তি দেশের করোনা গ্রাফে। তবে উদ্বেগ জারি রেখে লাফিয়ে বাড়ল রাজ্যের সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার, শেষ ইচ্ছা মেনে দেহদান এসএসকেএম-এ
বিস্তারিত খবর:
1. উদয়পুর ও জম্মুর ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে বিজেপির। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দাবি জানালেন বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও। এদিনের তিনি বলেন, “গভীর ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। আর্থিকভাবে দেশ কত পিছিয়ে পড়েছে, মানুষের উপর চাপ বাড়ছে, আর এই ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে ধর্মীয় হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি।” বিজেপির বিরুদ্ধে বিতর্কিত নেত্রী নূপুর শর্মাকে আড়াল করার অভিযোগ তোলেন তিনি। নেত্রীকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করা হল না, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেন, “উদয়পুর কাণ্ডে ধৃত রিয়াজ আকারির সঙ্গে বিজেপির যোগ পাওয়া গিয়েছে। জম্মুতে কুখ্যাত জঙ্গিকে হাতেনাতে ধরেছেন স্থানীয়ার। ধৃতদের মধ্যে তালিব হোসেন ছিল বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। রিয়াজ, তালিব হোসেনের মতো লোকদের ব্যবহার করে দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে বিজেপি।” স্বাধীন বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “লস্কর জঙ্গির সঙ্গে বিজেপির কী যোগ, তার পূর্ণাঙ্গ এবং স্বাধীন তদন্ত দাবি করছে তৃণমূল।”
2. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সন্দেহভাজন হাফিজুল মোল্লার প্রবেশের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের। অনুপ্রবেশের ঘটনার তদন্ত করার জন্য এবার ডিসি ডিডি স্পেশ্যাল ও এসটিএফের নেতৃত্বে গঠিত হল স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট। সেই সঙ্গে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৫ পুলিশকর্মীর বদলিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবন ঘিরে কড়া হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। ৭০-এর পরিবর্তে ৮৮ জন পুলিশকর্মী এবার থেকে এক একটি শিফটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। মোতায়েন করা হয়েছে তিনটি বাড়তি পুলিশ পিকেটও। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছাকাছি প্রত্যেকটি অলিগলিতে সিসিটিভির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। একই সঙ্গে নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিতে এবার নবান্নে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।