এনআরসি হবে না রাজ্যে। ‘আমি গ্যারেন্টার’, মালদহ থেকে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। অভিষেকের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রশংসা মমতার। অমর্ত্য সেনের জমি মামলায় ধাক্কা বিশ্বভারতীর।তিহাড়েই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে ‘কালীঘাটের কাকু’ থেকে পার্থ-ঘনিষ্ঠ নেতা।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়াতেই হবে ডিএ-র দাবিতে মিছিল। জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা এখনই নয়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
আরও শুনুন: 2 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘চব্বিশে পরিবর্তন আসবেই’, লোকসভার আগে বিরোধী জোটে শান মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যে এনআরসি হবে না। মালদহের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের সংক্ষিপ্ত জেলা সফরে বেরিয়ে এদিন মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিয়ে একসঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন তিনি। আর সেখানেই এক জনপ্রতিনিধি নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, “নাগরিকত্ব নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে না। ওসব এখানে হবে না। আমি গ্যারেন্টার।” এর আগেও এনআরসি নিয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর গলায় বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী জেলা মালদহ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা নিঃসন্দেহে বাড়তি তাৎপর্যের। এদিন তিনি বলেন, ‘‘কোনও কাগজ না থাকলেই আপনাকে বিদেশি বানিয়ে দেবে। ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। যেভাবে অসমে করা হয়েছে। আমি এই কাজ করতে দেব না।’’ তবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সকলকে সতর্ক করেন তিনি।
এদিকে এদিন মালদহে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেকের কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে নির্বাচনী লড়াইয়ের বার্তা দিলেন নেত্রী।
2. জমিজট মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। উচ্ছেদের নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, বীরভূমের জেলা জজ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জমিজট ইস্যুতে সম্প্রতি বিশ্বভারতী উচ্ছেদ নোটিস পাঠায় অমর্ত্য সেনকে। ৬ মে জমি খালি করার শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয় সেখানে। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বল প্রয়োগ করবে এমন হুঁশিয়ারিও দেয়। তার পালটা বীরভূমের জেলা জজ আদালতের দ্বারস্থ হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ মে। তাই উচ্ছেদে স্থগিতাদেশের আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। সেই মামলাতেই এবার নোবেলজয়ীর আবেদনে সায় দিল আদালত। এদিকে, উচ্ছেদের বিরোধিতায় ধরনার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পুলিশ সুপার এবং মহকুমাশাসককে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে পুলিশ অনুমতি দিলে এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।