ফ্ল্যাট দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওড়ালেন নুসরত। সাংসদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব বিজেপি নেতা। প্রমাণের আগেই কেন দোষী সাব্যস্ত, প্রশ্ন মমতার। রাজ্যের ঋণ নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ, তথ্য দিয়ে খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার প্রাপ্য আটকে বিজেপি নেতাদের জন্যই। তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। দুর্নীতি ইস্যুতে ফের চড়া রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনে খুলল ‘অ্যান্টি করাপশন সেল’। ধনকড়ের সঙ্গে তুলনা টেনে বোসকে একহাত মুখ্যমন্ত্রীর। মণিপুর থেকে ফিরে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। অশান্তি রুখতে হস্তক্ষেপ করুন রাষ্ট্রপতি। স্মারকলিপি পেশ করে আরজি নেতৃত্বের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 01 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে মণিপুর সরকার
আরও শুনুন: 31 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নারীনির্যাতনে মণিপুরের সঙ্গে তুলনা নয় বাংলার, বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
বিস্তারিত খবর:
1. ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে দুর্নীতিতে যোগের অভিযোগ ওড়ালেন নুসরত। এই ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রমাণের আগেই নুসরতকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, বিজেপিকে বিঁধে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের সাংসদের বিরুদ্ধে শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ, কো-অপারেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার করে টাকা দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ওই সময় ওই কোম্পানির একজন ডিরেক্টর ছিলেন বর্তমান তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। কিন্তু ফ্ল্যাট বা টাকা, কোনও কিছুই মেলেনি। এই প্রেক্ষিতে বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন নুসরত জাহান। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আপাতত মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে, তাই বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করবেন না বলেই জানান তিনি। তবে লেনদেন সংক্রান্ত নথি সামনে আনতেও তিনি নারাজ। অভিযোগ উঠেছিল, তিনি সংস্থার টাকা নিয়ে বাড়ি কিনেছেন। অভিযোগ নস্যাৎ করে সাংসদ জানান, ঋণ হিসেবেই সেই টাকা নিয়েছেন তিনি। এদিকে চেকের নম্বর উল্লেখ করে তাঁকে পালটা দিয়েছেন বিজেপি নেতাও। আর এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।
2. রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকায় ঠেকেছে, অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠকে সেই অভিযোগ নাকচ করে সঠিক তথ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গবিজেপির নেতাদের দরুন কেন্দ্রের কাছ থেকেও প্রাপ্য মিলছে না বাংলার, তোপ মমতার।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাম আমলের ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে রাজ্যকে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজ্য পুরনো ঋণ নিয়ে থাকলে, সেই ঋণের সুদ বাড়তে থাকে। যার ফলে পুরনো রাজ্যগুলির ঋণের পরিমাণ এমনিই বেশি হয়। মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যা, কোনও রাজ্য কতটা দেনায় ডুবেছে, সেটা ঋণের পরিমাণ দেখে নির্ধারণ করা যায় না। সেটা নির্ধারণ করতে হয় রাজ্যের মোট জিডিপি এবং ঋণের অনুপাতের উপর। বর্তমানে রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা হলেও সে তুলনায় জিডিপির পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। যার ফলে ঋণ এবং জিডিপির অনুপাত কমে হয়েছে ৩৩ শতাংশ। করোনার মতো মহামারির পরও এই অনুপাত কমানো অভাবনীয়, এমনটাই দাবি মুখ্যসচিবের। খেলা-মেলার পিছনে খরচ করতে গিয়ে পরিকাঠামো খাতে উন্নয়ন করতে পারছে না সরকার, বিরোধীদের এই দাবিও নাকচ করে মুখ্যসচিব বলেন, ২০১১ সালে যেখানে বাংলায় পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেখানে বর্তমানে পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ তা বেড়েছে ১৫ গুণ। এদিকে দেনার পরিমাণ নিয়ে এদিন কেন্দ্রকেও পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের ঋণ নিয়ে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর দাবিতে এদিন ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।