প্রাক্তনকে খাবার পাঠানো বন্ধ করুন তো! এক তরুণীর কাছে এমনই আরজি জানাল অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা। কিন্তু তরুণীর ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কেন এহেন মন্তব্য করল সংস্থাটি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে বসেই মিলবে রেস্তরাঁর হাতেগরম খাবার, এমনটা হলে কার না ভাল লাগে! কিন্তু সবসময় বোধহয় তেমনটা পছন্দ হয় না। বিশেষ করে যদি শোনেন, যে, আপনি খাবার অর্ডার করেননি অথচ তার বিল মেটাতে হবে আপনাকেই, তাহলে উলটে চটে যাওয়ারই কথা। মুশকিল হল, অনলাইন খাবার ডেলিভারি অ্যাপে এমনটা কিন্তু ঘটতেই পারে। আর তেমনই এক কাণ্ডের জেরে এবার সরাসরি টুইট করে বসল সংস্থাটি। একজন খাবার অর্ডার করেছেন, আর একজন সেই খাবার নিলেও টাকা মেটাতে নারাজ, এই টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাই সংস্থার তরফ থেকে খাবারের প্রেরককেই আরজি জানানো হয়েছে, যাতে তিনি আর ওই ব্যক্তিকে খাবার না পাঠান। আর সেই অভিনব আরজি দেখে অবাক নেটিজেনরাও।
আরও শুনুন: ১,৪১,৭০৮ বছরের জেল! কোন অপরাধে এমন লম্বা শাস্তি পেলেন মহিলা?
আসলে গল্পটা প্রেমের। ভোপালের এক তরুণী নাকি মাঝে মাঝেই এক যুবককে ওই অ্যাপের মাধ্যমে খাবার পাঠান। কিন্তু সেই খাবারের টাকা তিনি মেটান না মোটেই। এই জাতীয় অ্যাপে যেমন অর্ডার করার সঙ্গে সঙ্গেই বিল মিটিয়ে দেওয়া যায়, তেমনই ক্যাশ অন ডেলিভারি-র সুবিধাও থাকে, অর্থাৎ খাবার হাতে পাওয়ার পর ডেলিভারি পার্সনের হাতেই টাকা দিয়ে দেওয়া যায়। ওই তরুণী দ্বিতীয় পথটিই বেছেছেন। তিনি যুবকের জন্য খাবার অর্ডার করেন বটে, কিন্তু খাবারের টাকা মেটানোর দায় বর্তায় সেই যুবকের ওপরেই। এদিকে এহেন বন্দোবস্তে মোটেই সায় নেই যুবকের। তাই তিনি খাবারটি ঠিকই নিয়ে নেন বটে, কিন্তু বারবার তিনবার টাকা দিতে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, ওই যুবক সম্ভবত তরুণীর প্রাক্তন প্রেমিক। আর তাঁদের এহেন মান অভিমানের জেরেই রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সংস্থাকে। সেই কারণেই এবার সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণীর নাম জানিয়ে তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করল ওই সংস্থা। শুধু তাই নয়, মজার ছলেই তারা জানিয়েছে যে, তরুণীর অ্যাকাউন্টে ক্যাশ অন ডেলিভারি-র ব্যবস্থাটিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও শুনুন: জোর করে ঘুম ভাঙানো অপরাধ! এমন বিধান আছে নাকি দেশের সংবিধানে?
এমনিতেও মাঝে মাঝেই মজার ছলে পোস্ট করেই থাকে এই সংস্থা। তবে এবার তাদের এহেন টুইট দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটদুনিয়াতেও। এই ঘটনা সত্যি, নাকি সংস্থার বানানো গল্প, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না কেউই। বরং নিজেদের প্রাক্তনদের এই সংস্থার মাধ্যমে বিপাকে ফেলা যায় কি না, সেই উপায়ই খুঁজছেন নেটিজেনদের একাংশ।