একখানা ডার্টি পিকচারেই নাকি লুকিয়ে আছে যৌন উত্তেজনার গুপ্তধন। পুরুষ শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গের ছবির চাহিদা তাই তুঙ্গে। এমনকী সেই ছবি অনলাইনে বিক্রি করারও ব্যবস্থা আছে। যার তা নাকি যথেষ্ট দাম দিয়ে কেনাকাটাও করে থাকেন মহিলারা। তা সেই অঙ্গ কোনটি? অনুমান করছেন তো? বেশ, করুন। পরে নাহয় মিলিয়ে নেওয়া যাবেখন, আপনার ভাবনা ঠিক না ভুল।
যৌনতা ব্যাপারটা কিন্তু একটা গড়পড়তা বিষয় নয়। অর্থাৎ একটি জিনিসই যে সকলকে সমান ভাবে যৌন ভাবে উদ্দীপ্ত করবে, তার কোনও মানে নেই। আসলে যৌনক্রিয়ার পদ্ধতিটা এক রকম হতে পারে, কিন্তু যৌনতার ধারণার ভিতর অনেক কিছু ঢুকে পড়ে। মনের গঠন, এমনকী সাংস্কৃতিক পরিবেশও সেখানে বড় গুরুত্ব পায়। আর তাই কখন কোন জিনিসে যে কার মনে যৌনভাব জেগে ওঠে, তার হিসাব মেলানো দায়। এই যেমন সম্প্রতি একটি ট্রেন্ড দেখা দিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, মহিলামহলে পুরুষের এক বিশেষ অঙ্গের চাহিদা তুঙ্গে। শুধু তাই-ই নয়, সেই অঙ্গের খুব সাফসুতরো নয়, এরকম ছবির খোঁজ চলছে জোর কদমে। চাহিদার কথা মাথায় রেখেই অনলাইনে তা বিক্রিবাটার ব্যবস্থাও তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই ছবি বিক্রি করে পুরুষরা নাকি দেদার অর্থও উপার্জন করতে পারেন।
আরও শুনুন: অন্তঃসত্ত্বা না হয়ে যৌনতা উপভোগ! সঙ্গম শেষে মূত্রত্যাগ কি আদৌ কার্যকরী?
তা, এত কথা যে অঙ্গকে ঘিরে, তা আসলে কী? তা হল, পুরুষের পায়ের পাতার ছবি। এমনকী, তেমন সাফসুতরো বা ঘষামাজা করা নয়, এমন পায়ের পাতার চাহিদাই বেশি। যৌনতা নিয়ে চর্চা করেন, এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিষয়টি বেশ খতিয়ে দেখার মতোই। কেন মহিলাদের মধ্যে এমন ছবির আগ্রহ বাড়ছে, তার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে একটি হল ম্যাসকুলিনিটি সম্পর্কিত ধারণায় বদল। অর্থাৎ পুরুষ শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশ্যে দেখানো যায় আর কোনটি যায় না, তা নিয়েও বেশ কিছু বদ্ধমূল ধারণা আছে। সাংস্কৃতিক বদলের ফলেই সেই ধারণা ক্রমশ বদলাচ্ছে। আর তার ফলেই চাহিদা এমন ছবির। চাহিদার রকমফের নানা ইঙ্গিতও দিচ্ছে। যেমন, একেবারে ঝকঝকে ঘষামাজা করা পোলিশড্ পায়ের পাতার ছবিও অনেকে দেখতে চাইছেন। তা আসলে যত্ন, মনোযোগ ইত্যাদির প্রতীক হয়ে উঠছে। তাহলে, সাফসুতরো নয় এমন পায়ের পাতার ছবি কেন অনেকে চাইছেন? তাঁরা কি যত্ন ইত্যাদি বিষয়কে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না! ব্যাপারটা সেরকম নয়। অনেকেই এই ধরনের ছবিকে স্বাভাবিকতার প্রতীক হিসাবে গণ্য করছেন। অর্থাৎ, এখানে কোনওরকম কৃত্রিমতার আমদানি নেই। এরকমই একটা বার্তা থাকছে এইসব ছবিতে। যা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। তা ছাড়া এই ‘ডার্টিনেস’-এর অনুষঙ্গে একরকম নিষিদ্ধ জিনিসের স্বাদগ্রহণের আনন্দও আসছে। এই ট্রেন্ড যে বেশ অন্যরকম তা বোঝা যায়। তবে, অনলাইন বিপণন জানান দিচ্ছে, একাধিক দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে চলছে এই ট্রেন্ড। আপাত দৃষ্টিতে তা অদ্ভুত মনে হতে পারে। তবে, যৌনতার বা যৌনসম্পর্কের মধ্যে যে ক্ষমতার খেলা এবং নিয়ন্ত্রণ থাকে, তার একটা বড় পরিবর্তন ঘটছে গোটা বিশ্বেই। আর সেই মানসিকতাতেই হঠাৎ মহিলাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পুরুষের পায়ের পাতার ছবি।
আরও শুনুন: রোজ হস্তমৈথুনে দিনে দিনে কমে বীর্য! নাকি উলটো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
অবশ্য এর অন্যরকম একটা দিকও রয়েছে। কে কীভাবে যৌন সুখ পান, সে বিষয়ে কিছু ব্যক্তিগত গোপন ইচ্ছা থাকে সকলেরই। সেখানেই, কারও কারও সুখ মেলে বশ্যতা স্বীকার করায়। সম্প্রতি ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল নায়িকাকে জুতো চাটার নির্দেশ দেয় নায়ক, ওইভাবে বশ্যতা স্বীকার করানোর মধ্যেই ছিল তার যৌন উত্তেজনা। পুরুষের পায়ের ছবি দেখে এইভাবেই অবদমনের উত্তেজনা অনুভব করতে চান কোনও কোনও মহিলা। সে কারণেও এই ধরনের ছবির চাহিদা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।