সৎপাত্র খোঁজা কি সহজ ব্যাপার! সে যারা সুকুমার রায় পড়েছেন তাঁরাই জানেন। আর তাই পাত্রের খোঁজে মাথাব্যথা নতুন কিছু নয়। এবার সেই পাত্রের সন্ধানেই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে দাঁড়ালেন এক তরুণী। কী তাঁর যুক্তি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ঘটক নয়। নয় খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন। নয় সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হওয়া। এমনকী নয় কোনও চার হাত এক করার অ্যাপও। বিয়ের পাত্র অর্থাৎ নিজের পছন্দের মানুষটিকে খুঁজে পেতে এক তরুণী এবার নামলেন পথে। হাতে প্ল্যাকার্ড। আর সেই প্ল্যাকার্ডই যেন ম্যাট্রিমনির নয়া বিজ্ঞাপন।
দু’জন আলাদা মানুষ। তাঁদের পছন্দ-অপছন্দও যে আলাদা হবে তাতে আর সংশয় কী? তবে, সবার আগে দু’জনের মন তো মিলতে হবে। তবেই না বিয়ে! তাই বিয়ের আগে স্পষ্ট করে নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছের কথা বলে রাখা নতুন কথা নয়। কারণ বিয়ের পরে আসতে পারে নানা অবাঞ্ছিত সমস্যা। সেই ঝুঁকি এড়াতে, আজকাল প্রায়ই দেখা যায়, যে শুরুতেই একে অপরকে নিজেদের শর্তের কথা জানিয়ে রাখছেন হবু দম্পতি।
সেই শর্ত জানান দিতেই হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে ব্যস্ত রাস্তায় এসে দাঁড়ালেন এক তরুণী। প্ল্যাকার্ডের উপরে গোটা গোটা করে লেখা ‘বিয়ের বায়োডাটা’। তাঁর যুক্তি, চাকরির জন্য বায়োডাটা দিতে হলে বিয়ের জন্য কেন নয়? তাই একইরকম ভাবে বিয়ের জন্যও তাঁর নাম-ধাম, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে লিখে রেখেছেন প্ল্যাকার্ডে। এত দূর পর্যন্ত তাও নাহয় ঠিকই ছিল। ঠিক তার পরেই আছে মোক্ষম কথাটি। তিনি তাঁর সঙ্গীর জন্য রাখতে চান দুটি শর্ত। কী সেই শর্ত? ‘বায়োডাটা’য় সেই তরুণী লিখেছেন, তাঁর সঙ্গীকে অবশ্যই হতে হবে তাঁর থেকে লম্বা। আর দ্বিতীয় শর্তটি হল তাঁকে হতে হবে মুম্বইনিবাসী। জানা গিয়েছে, তরুণী একজন ইনস্টা-ইনফ্লুয়েন্সার। মুম্বইয়ের বিখ্যাত তাজ হোটেলের সামনে তাঁকে ওই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পথচলতি অনেকেই কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে যান। কেউ কেউ আবার তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন।
আরও শুনুন: নগ্ন হয়ে বিয়ে করাই রীতি, পোশাক পরা মানা অতিথিদেরও
তরুণীর এই অভিনব বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন বাড়াবাড়ি। কেউ বলছেন, লোক দেখানো ব্যাপার! কেউ আবার বলছেন। হোক না লোক দেখানো, তাতে ক্ষতি কী! বাঁচতে তো হয় নিজের শর্তেই। তা যদি খোলামেলা কেউ জানাতে পারেন তাতে মন্দ কী! তবে কি এই প্ল্যাকার্ডে পাত্র বা পাত্রী চাই হয়ে উঠবে বিজ্ঞাপনের নতুন ধাঁচ? সে উত্তর তোলা সময়ের হাতেই।