কাজ করেন বারটেন্ডার হিসাবে। তবে অন্তর্বাস পরতে একেবারেই রাজি নন তিনি। সংস্থার কোনও চাপের মুখে পড়ে নয়, বরং স্বেচ্ছায় অন্তর্বাস খুলে বারের মতো জায়গায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক তরুণী কর্মী। আর তাতে বরং লাভই হয়েছে তাঁর। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি? নিজের মুখে সে-কথা জানাতেও তিনি কসুর করেননি। আসুন শুনে নিই।
বারটেন্ডার হিসাবে কাজ করাই তাঁর পেশা। মায়াবি পরিবেশে বহু পুরুষের দৃষ্টি তাঁকে অহরহ ঘিরে থাকে। তবু অন্তর্বাস খুলেই বারে কাজ করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক তরুণী। বারের পরিবেশের তোয়াক্কা তিনি করেননি। বরং তাঁর নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছের উপরই জোর দিয়েছেন বেশি। আর তাতে তাঁর লোকসান হয়নি, বরং লাভই হয়েছে।
আরও শুনুন: ভারতীয় ‘কামসূত্র’ দিল খোঁজ, যৌনতৃপ্তির নতুন উপায় পেয়ে বেজায় খুশি ভিনদেশি মডেল
সম্প্রতি এক ভিডিওতে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তরুণী। বার যখন জমজমাট তখন তিনি অন্তর্বাস ছাড়াই কাজ করেন। এতে অবশ্য তাঁর বক্ষযুগলের অনেকটাই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। বহু পুরুষের নেশাতুর দৃষ্টি যে সেদিকে ছুটে যায়, তরুণী তা বিলকুল জানেন। এমনকী অন্তর্বাস ছাড়া তাঁকে দেখে প্রথমে অনেকে চমকেও যান। পরে আর দৃষ্টি ফেরাতে পারেন না। পুরুষের এই দৃষ্টি কি তাঁকে বিদ্ধ করে? তরুণীর সাফ জবাব, অন্তর্বাস নেই বলে যাঁরা যাঁরা তাঁর স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকেন, হতে পারে তাঁরা ‘পারভার্ট’। তবে তিনি এতে কিছু মনে করেন না। বরং তিনি জানাচ্ছেন, এই ব্যবহার তিনি পছন্দই করেন।
আরও শুনুন: মানুষ বড় একঘেয়ে! এবার ভিনগ্রহীদের সঙ্গেই সঙ্গম করতে চান জনপ্রিয় পর্নস্টার
তবে বারের মধ্যে অন্তর্বাস ছাড়া কাজ করা খুব সহজ কথা নয়। সে কথা স্বীকার করেছেন তরুণী নিজেও। তাঁর সহকর্মীরা কেউই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ফলত বারের মধ্যে তিনি একাই অন্তর্বাস ছাড়া কাজ করেন। বহুজনের দৃষ্টি তাই তাঁর দিকেই চলে যায়। আর এতে তাঁর লাভই হয়েছে বলে জানান তরুণী। কেননা বারে যাঁরা আসেন, তাঁরা অন্যান্যদের থেকে তাঁকে একটু বেশি বকশিশই দেন। হতে পারে অন্তর্বাস ছাড়া তাঁকে দেখার দরুনই টাকার অঙ্কটা বেশি হয়। তবে এনিয়ে বিন্দুমাত্র ছুঁতমার্গ নেই এই তরুণীর।
আরও শুনুন: পর্ন দেখেই নিয়মিত অভ্যেস হস্তমৈথুনের! বড্ড ভুল হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
তবে শুধু যে বেশি বকশিশ পাওয়ার জন্যই তিনি বারেও অন্তর্বাস খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা কিন্তু নয়। ঘটনাচক্রে তাঁর এই সিদ্ধান্তের দরুন উপার্জনের রাস্তা খুলে গিয়েছে। তবে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আলাদা। তরুণীর বক্তব্য, শরীর তাঁর নিজের। সেই শরীরকে তিনি অন্তর্বাসের বাঁধনে বাঁধবেন, নাকি বাঁধবেন না, সে সিদ্ধান্তও তাঁর নিজেরই হওয়া উচিত। তাই বারে কাজ করলেও, স্বেচ্ছায় তিনি অন্তর্বাস খুলে কাজ করার পথ বেছে নিয়েছেন। আর যাঁরা তাঁর স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাঁদের সম্পর্কে যে তিনি ভাল ধারণা পোষণ করেন না সে কথা সোচ্চারে বলতেও তাঁর আপত্তি নেই। অতএব কে তাকিয়ে থাকবে, তা নিয়ে ভেবে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনও কারণই দেখছেন তিনি।
আরও শুনুন: গোপন অঙ্গেও রোম থাকবে না সুন্দরীর, কেন চালু হয়েছিল এই ধারণা?
এ প্রজন্মের বহু তরুণীই যে মতে বিশ্বাস করেন, তা হল, ‘মাই বডি মাই চয়েস’। শরীর ও পোশাকের স্বাধীনতা সম্পর্কে তাঁরা পূর্ণ সচেতন। তা সত্ত্বেও সামাজিক নানা বিধি অনেক সময় এই স্বধীনতার উপর কোপ বসায়। বহু তরুণী তা অস্বীকার করার সাহস দেখান। তাঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী জুলিয়া নামে এই মার্কিন তরুণী। বারের মতো জায়গায়, বহু পুরুষের দৃষ্টি অগ্রাহ্য করে অন্তর্বাস ছাড়া কাজ করার সিদ্ধান্ত যে বেশ সাহসী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাহসী তরুণী নিজের স্বাধীনতা উদযাপনে সেই কঠিন কাজটিই করেছেন অনায়াসেই।