সঙ্গম যদি চূড়ান্ত সুখে পৌঁছে দেয়, তাহলে তা মনের পক্ষে যেমন ভালো, তেমন শরীরের পক্ষেও। নিয়মিত সঙ্গমে শরীরে যে কিছু অদলবদল ঘটে, এ কথাও সকলেরই জানা। অনেকে ভাবেন, এই বদলের অন্যতম হল নিতম্ব ভারী হয়ে যাওয়া। সত্যিই কি ঘটে তেমনটা? শুনে নেওয়া যাক।
একে অপরকে কাছে পেলেই জেগে উঠছে শরীর। তারপর ভেসে যাচ্ছে উদ্দাম যৌনতায়। সে কতক্ষণের বা কতবারের, তেমন হিসেব আর কে-ই বা রাখে! শরীরী সুখের কাছে তুচ্ছ হয়ে যাচ্ছে বাকি সব ভাবনাই। কিন্তু অনেক মহিলা মনে করেন, এভাবে নিয়মিত যৌনতার ফলে শরীরেও কিছু কিছু বদল আসে তাঁদের। তার মধ্যে অন্যতম হল নিতম্ব ভারী হয়ে যাওয়া, কিংবা আকারে খানিক বৃদ্ধি পাওয়া, এমনটাই ধারণা কারও কারও।
আরও শুনুন: শুকনো লাগছে স্তন! অন্তর্বাসের কারণেই কি সমস্যা, নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ?
এমনিতে শরীরের যে অঙ্গগুলি যৌনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে, তাদের সৌন্দর্য আর গড়ন নিয়ে মাথা ঘামান অনেকেই। মহিলাদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বাঙ্গ বা নিম্নাঙ্গের আবেদন আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা দেখা যায় অনেক সময়েই। যৌন আবেদন আরও বাড়াবার তাগিদে বারবার শরীরে কাটাছেঁড়া করতেও পিছপা হন না তাঁরা। কখনও স্তন, কখনও নিতম্ব, কখনও বা ঠোঁটে অস্ত্রোপচার চালানোর ফলে উপচে পড়ে তাঁদের ভরা যৌবন। এই যেমন নিজেকে আরও মোহময়ী করে তুলতেই একেবারে নিতম্ব প্রতিস্থাপন করে বসেছিলেন কিম কার্দাশিয়ান। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এই অঙ্গটিকে কতখানি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন মহিলারা। আর কোনও ওষুধ বা অপারেশনের মধ্যে না গিয়ে, কেবল যৌনতার জেরেই যদি সেই অঙ্গের আকার বাড়ে, তাহলে তো ভালোই।
কিন্তু কথা হল, এই ভাবনা কি আদৌ সত্যি? সত্যিই কি সঙ্গমের জেরে ঘটতে পারে এমনটা?
আরও শুনুন: সঙ্গমের চূড়ান্ত মুহূর্তে রাশ টেনে ‘পুল-আউট’, তবু কি থাকে গর্ভধারণের আশঙ্কা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবশরীর জটিল। সেখানে কোন হরমোন কখন কী খেল দেখাবে, তা কাঁটায় কাঁটায় বলে দেওয়া তাই মুশকিলই বটে। যৌনতার সময় এমনিতেই অক্সিটোসিন, ডোপামিনের মতো হরমোন ক্ষরিত হয়ে মন ভালো করে। তাই অনেকের ধারণা, যেহেতু নিতম্ব ভারী করার জন্য দায়ী ইস্ট্রোজেন হরমোনও এই সময়ে প্রচুর ক্ষরিত হয়, তাই নিম্নাঙ্গের গড়ন বদলাতেও পারে। তবে এই বিশ্বাসে আদৌ শিলমোহর দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, সঙ্গম আদতে শরীরের পক্ষে ভালো কার্ডিও ওয়ার্কআউট। সুতরাং, নিয়মিত সঙ্গমে শরীরচর্চার কাজ হলে শরীরের গড়ন একটু বদলাতে পারে। কিন্তু যৌনতা একবার হোক কি বারবার, তা নিম্নাঙ্গকে আরও ভারী করে তুলবে, এমন কোনও আশ্বাস তাঁরা আদৌ দিচ্ছেন না। তবে মন ভালো থাকলে কেউ যে নিজেই নিজের কাছে আরও মোহময়ী হয়ে উঠবেন, সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই কাজ কিন্তু যৌনতা হাসিল করতে পারে বেশ ভালোভাবেই।