কোনও একটি পারফিউম গায়ে মাখছেন পুরুষ। আর সে গন্ধেই পাগল হয়ে তাঁর শরীরে মিশে যাচ্ছেন মহিলারা, এমনটা তো হামেশাই নানা বিজ্ঞাপনে দেখা যায়। কিন্তু কেউ যদি সাবধানী হন, তাহলে কাউকে মনে ধরলেও তিনি আগে বুঝে নিতে চান সেই পুরুষ ‘সিঙ্গল’ কি না। জানা যাচ্ছে, তাও নাকি বুঝে নেওয়া যায় গন্ধ শুঁকেই। কেমন করে? শুনেই নেওয়া যাক।
যে পুরুষকে দেখে মন উড়ু উড়ু, তিনি আদৌ সিঙ্গল কি না, বুঝবেন কী করে? কাউকে মনে ধরলেই তো হল না, প্রেমের পথ খোলা কি না সে কথাও তো জানতে হবে। এদিকে সদ্য চেনাশোনার মধ্যে সে খবর জিজ্ঞেসই বা করবেন কী করে? সেখানেই সহায় হতে পারে একটি আশ্চর্য তথ্য। গবেষণা বলছে, স্রেফ গন্ধ শুঁকেই নাকি সে কথা বুঝে ফেলতে পারেন মহিলারা। কোনও পুরুষ সিঙ্গল, নাকি তিনি প্রেম বা বিয়ের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জড়িয়ে আছেন, তা বুঝিয়ে দিতে পারে তাঁর গায়ের গন্ধ। অর্থাৎ কিনা, এও আরেকরকম গন্ধবিচারের আখ্যান।
আরও শুনুন: উৎসবের মরশুমে হাবিজাবি খাওয়া! অজান্তেই যোনির ক্ষতি হচ্ছে? জেনে রাখুন
এমনিতে যৌনতার ক্ষেত্রে গন্ধের ভূমিকা কম নয়। সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে অনেক প্রজাতির পুরুষ প্রাণীই শরীর থেকে বিশেষ নির্যাস বের করে। কিন্তু মানুষের তেমন কোনও ক্ষমতা নেই। নিজে নিজে গন্ধ উৎপাদন করতে সে নেহাতই অপারগ। তাহলে কোনও পুরুষ সিঙ্গল নাকি এনগেজড, তা বোঝার ক্ষেত্রে গায়ের গন্ধের কথা আসছে কেন?
আসছে, তার কারণ একটি গবেষণা। সে গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পুরুষের দেহে একটি বিশেষ গন্ধ থাকে। আর যারা সম্পর্কে আছেন, তাদের তুলনায় সিঙ্গল পুরুষদের ক্ষেত্রেই এই গন্ধ বেশি টের পাওয়া যায়। এই গবেষণার জন্য ৯১ জন পুরুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন সম্পর্কে আছেন, আর ৪৬ জন কোনও সম্পর্কে নেই। প্রত্যেককেই সাদা জামা পরতে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁদের ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে বলা হয় যাতে গায়ে ঘাম জমে। পরে সেই পোশাকের গন্ধ শুঁকতে দেওয়া হয়েছিল ৮২ জন মহিলাকে। তাতে দেখা যায়, যে পুরুষেরা সম্পর্কে নেই, তাঁদের গায়ের গন্ধই বেশি শক্তিশালী। গবেষকদের মতে, কোন পুরুষ সিঙ্গল, তা এই এই গন্ধ বিচার করেই বুঝতে সুবিধা হতে পারে মহিলাদের। আর কেমোসিগন্যাল শনাক্ত করার ক্ষমতা থাকলে তা সম্পর্কের পক্ষে আরও সুবিধাজনক হতে পারে।
আরও শুনুন: ডিভোর্সের পরও ৮০০ জনের সঙ্গে যৌনতা, স্বাদবদল করতে নতুন বছরে নয়া চমক মহিলার
আসলে, পুরুষদের দেহের গন্ধ নির্ধারণ করে টেস্টোস্টেরন হরমোন। যে পুরুষেরা সিঙ্গল, যৌন প্রতিযোগিতার কারণেই তাঁদের দেহে এই যৌন হরমোনের মাত্রা বেশি। সেই কারণেই তাঁদের গায়ের গন্ধ বেশি শক্তিশালী, এমনটা মনে করছেন কোনও কোনও গবেষক। কেউ কেউ অবশ্য এ কথাকে স্রেফ উড়িয়ে দাবি করেছেন, আসলে অধিকাংশ সিঙ্গল পুরুষই স্বাস্থ্যবিধি মানেন কম। সেই কারণেই এই গন্ধের জোর বেড়েছে বলে দাবি তাঁদের।