নারী আসলে কামবর্ধক উপাদানের মতোই- এই শিরোনামে প্রবন্ধ লিখতে বলা হয়েছিল পরীক্ষায়। আর সেই প্রশ্ন ঘিরেই ঘনাল বিতর্ক। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক।
অনেকসময়ই প্রশ্নপত্রে এমন সব কঠিন কঠিন প্রশ্নের দেখা মেলে যে তার উত্তর খুঁজতে নাজেহাল হয় পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু কেউই বোধহয় চট করে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় না। এই প্রশ্ন যতটা কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি অদ্ভুত বললেই ঠিক হয়। আজ্ঞে হ্যাঁ। পরীক্ষার্থীদের কিনা বলা হয়েছে, ‘নারী হল যৌন ইচ্ছা জাগানোর ওষুধ’, এই শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখতে। আর এই প্রশ্নপত্রটি সামনে আসার পরেই ঘনিয়েছে বিতর্ক। এমন ধরনের কথা আসলে মহিলাদের প্রতি অত্যন্ত অপমানজনক, এই মর্মে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
আরও শুনুন: চাষের থেকে বরং হেলিকপ্টার ভাড়া দেওয়া লাভজনক, ব্যবসার জন্য ৬.৬ কোটি ঋণ চাইলেন কৃষক
কোথায় ঘটেছে এমন কাণ্ড?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কর্ণাটকের রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস-এর আয়ুর্বেদ বিভাগে এহেন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন পড়ুয়ারা। এই প্রতিষ্ঠানে আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন পড়ুয়ারা। সেখানকারই স্নাতক স্তরের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় এই প্রশ্নটির দেখা মেলে। এরপরই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় প্রশ্নপত্রটি। আর তারপরেই উসকে ওঠে বিতর্ক। শুধু এই প্রশ্নটিই নয়, পাঠ্য বই থেকে জবাবি অংশটি তুলে ধরে নিন্দায় সরব হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। নারীকে ‘কামোদ্দীপক ওষুধের’ সঙ্গে তুলনা করা ছাড়াও, বইয়ে তাদের ‘সন্তান জন্মের কারখানা’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক যুক্তি তথ্যের বদলে এই জাতীয় তথ্য পড়ুয়াদের আরও পিছনের দিকে ঠেলে দেবে বলেই মত প্রকাশ করেছেন নেটিজেনেরা।
আরও শুনুন: ইন্টারনেট ঘেঁটে শেখা চুরিবিদ্যা, হাতেকলমে করতে গিয়ে ধরাই পড়ে গেল স্বশিক্ষিত চোর
যদিও এসব বিতর্ক নিয়ে আদৌ মাথা ঘামাতে নারাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্ত প্রশ্নই পাঠক্রম মেনে করা হয়েছে। যদি পাঠক্রম কিংবা পাঠ্য বই বদলানোর দরকার হয়, সে উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রের আয়ুষ বোর্ড, এমনটাই মত তাঁদের। তবে এই বক্তব্যে আদৌ থামছে না বিতর্ক। পাঠ্য বইয়ে এই ধরনের বক্তব্য আসলে গোঁড়ামিকেই প্রশ্রয় দেবে বলে মনে করছেন নেটিজেনেরা।