চুমু খেলে দিতে হবে টাকা। কারণ, এ কোনও সাধারণ ঠোঁট নয়। সম্ভবত এটিই পৃথিবীর সবথেকে দামি ঠোঁট। যার বর্তমান বাজারমূল্য খুব কম করে কয়েক লক্ষ টাকা। ভাবছেন তো,এমনটা কীভাবে সম্ভব? আর এমন ঠোঁটের মালিকই বা কে? আসুন শুনে নিই।
এমন ঠোঁট আর কারও নেই। শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বে সবথেকে বড় ঠোঁটের মালকিন এই তরুণী। তবু তাঁর মন ভরে না। অস্ত্রোপচার করে আরও বড় করতে চান ঠোঁট। অবশ্য করবেন নাই বা কেন! এই ঠোঁটের জোরেই তো টাকা রোজগারের স্বপ্ন দেখছেন তরুণী।
আরও শুনুন: ‘মহিলা কর্মীর পিরিয়ডসের কথা বস জানবেন কেন?’ স্মৃতি ইরানির বক্তব্যে শোরগোল
সেলফি তোলার সময় পাউট করার কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন? ক্যামেরার দিকে চুমুর ভঙ্গী করে ছবি তোলা। একসময়, এই ‘পাউট’ সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম ট্রেন্ডিং ব্যাপার ছিল। তবে স্রেফ ছবি তোলার সময় নয়, এই তরুণীর ঠোঁট ২৪ ঘন্টাই ওমন পাউট আকৃতির হয়ে থাকে। আর এমনটা তিনি করিয়েছেন বারবার অস্ত্রোপচার করে। কথা বলছি, অ্যান্দ্রে ইভানোভা সম্পর্কে। বছর ২৬-এর এই তরুণী পেশায় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুইয়েন্সর। কিন্তু তাঁর পরিচয় স্রেফ ওটুকু নয়।
অনেকের দাবি, তিনিই বিশ্বের সবথেকে বড় ঠোঁটের মালকিন। ছোট থেকেই অন্যান্যদের তুলনায় অ্যান্দ্রের ঠোঁট ছিল বেশ পুরু। তারপর সেই ঠোঁটে বারবার অস্ত্রোপচার করাতে শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, ঠোঁটের আকার আরও বড় করা। যার জন্য ইতিমধ্যে প্রায় কুড়ি হাজার পাউন্ড খরচও করে ফেলেছেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। কিন্তু তাতে কি! শখ মেটাতে এত টাকা খরচও কিছুই মনে করছেন না অ্যান্দ্রে। বরং ভবিষ্যতে একইভাবে গাল, নাক কিংবা মুখের অন্যান্য অংশও বড় করতে চান অ্যান্দ্রে।
আরও শুনুন: যে শহরে শিশু নেই, সেখানে বড়দিন আসে না
তবে তাঁর বাড়ির লোকজন এই কাজ মোটেও সমর্থন করেন না। বরং তাঁরা অ্যান্দ্রের এই কান্ড কারখানা নিয়ে তাঁরা রীতিমতো ভয়ে ভয়ে থাকেন। এইসবের ফলে কোনও বড় রোগ হতে পারে মেয়ের, এমনই আশঙ্কা তাঁদের। তবে সেদিকে পাত্তা দিতে নারাজ অ্যান্দ্রে। তাঁর কথায়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে যা তাঁর মনে হয় তিনি তাই করেন। এতে কারও আপত্তি তিনি বিশেষ আমল দিতে নারাজ। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এবার একজন ভালোবাসার মানুষ দরকার জীবনে। যদিও সেক্ষেত্রে শর্ত একটাই, তিনি যেমন সেইভাবেই তাঁকে ভালোবাসতে হবে। অর্থাৎ তাঁর এই পুরু ঠোঁটের প্রেমে পড়লে তবেই সম্পর্কে জড়াবেন অ্যান্দ্রে। এদিকে, পুরু ঠোঁটের চুমু নিলামে তুলেছেন তিনি। এত টাকা খরচ হয়েছে যে ঠোঁটের পিছনে, সেখানে ঠোঁট ছোঁয়াতেও মোটা টাকাই খরচ করতে হবে। তরুণীর দাবি, এভাবেই একদিন মোটা টাকা রোজগার হবে তাঁর। সবমিলিয়ে এইসব কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় ঠোঁটের মালকিন কে নিয়ে।
==০==