সন্তানের জন্ম দিতে আপত্তি নেই এই মহিলার। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষ একটি শর্ত পালন করতে হবে স্বামীকে। সন্তান এলে কাজ ছেড়ে দিয়ে তার দেখাশোনা করতে হবে স্বামীকে, এই শর্ত মানলে তবেই মা হওয়ার পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন তরুণী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরিবার পরিকল্পনার দিকে হাঁটেন অনেক দম্পতিই। একটি নতুন প্রাণকে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চান তাঁরা, যাকে সৃষ্টি করবেন দুজনে মিলেই। কিন্তু দুজনের মিলিত প্রয়াসে যার সৃষ্টি, তাকে গড়ে তোলার কাজটিও দুজনেরই হওয়া উচিত, তাই না? আর সে কথাই মনে করেন এই তরুণী। তাই মা হওয়ার আগে তিনি স্পষ্ট শর্ত রেখেছেন তাঁর স্বামীর সামনে। তবে সেই শর্তটিতে স্বামীর দিকেই দায়িত্বের পাল্লা ভারী। তরুণী সাফ জানিয়েছেন, সন্তান এলে তার দেখাশোনার ভার নিতে হবে তাঁর স্বামীকেই। আর সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়ার জন্য নিজের কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়িতেই থাকতে হবে ওই ব্যক্তিকে। বলা বাহুল্য, এহেন শর্তের কথা শুনে খানিক চমকেই গিয়েছেন সকলে।
কিন্তু ঠিক কী বলেছেন ওই তরুণী?
আরও শুনুন: কনের বয়স্ক দাদাকে বিয়েতে বাধ্য বরের বোন! রাজস্থানের অদ্ভুত প্রথার বলি বহু তরুণী
ওই তরুণী জানিয়েছেন, নিজের একটি ব্যবসা রয়েছে তাঁর। আর সেই ব্যবসার কাজে প্রতি সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা করে একটানা সময় দিতে হয় তাঁকে। সেই কারণেই তাঁর পক্ষে সন্তানকে নিয়মিত দেখভাল করা সমস্যার। তাই সন্তান নিতে চাইলে স্বামীকে চাকরি ছাড়ার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু পুরোপুরি কাজ ছেড়ে দিতেই বা হবে কেন? তার জবাবে ওই তরুণীর যুক্তি, স্বামী যদি কোনও আংশিক সময়ের চাকরিও করেন, সেক্ষেত্রেও কখনও না কখনও দুজনের কাজের সময় মিলে যাবে, আর সেই সময়ে শিশুকে একা থাকতে হবে। তেমনটা তিনি একেবারেই চান না বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী। উপরন্তু তাঁর দাবি, তাঁর বদলে তাঁর স্বামী কাজ ছাড়লে সংসারে সমস্যা হবে না, কারণ স্বামী তাঁর মোট আয়ের মাত্র ৩ থেকে ১০ শতাংশ টাকা উপার্জন করেন। তাই সব দিক ভেবেচিন্তেই তিনি এহেন শর্ত আরোপ করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তবে এ কথাও ঠিক যে, স্বামীকে কাজ ছাড়ার জন্য আদৌ জোর করেননি তিনি। কেবল সন্তানের জন্ম দিতে চাইলেই লাগু হবে এই শর্ত।
আরও শুনুন: স্বামীর মৃত্যু হতেই দেওর হল ‘স্বামী’! ‘চূড়া প্রথা’র গেরোয় বিপাকে শহিদের স্ত্রী
বস্তুত, অনেক সময়ই সন্তানের জন্য কোনও মেয়েকে নিজের কাজ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে বাবা একেবারে সময় দিতে না পারলেও তেমন কথা ওঠে না। কিন্তু কোনও ছবিটা উলটো হলে সমাজের মনোভাব ঠিক কেমন হয়, সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। তাড়াতাড়ি সন্তান আসুক, এমনটা চাইলেও এই শর্ত মেনে নিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন এই ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা সামনে আসার পর দেখা গিয়েছে, এহেন শর্ত দেখে নারাজ নেটিজেনরাও। তবে যাই ঘটুক না কেন, নিজের কাজের সঙ্গে আপস করতে যে তিনি রাজি নন, তা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন ওই তরুণী।