জলের উপরেই দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছেন মহিলা। আর তা দেখেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। এমনটা কি আর কোনও মানুষের পক্ষে করা সম্ভব? এই মহিলা নিশ্চয়ই দেবী, এমনটাই ভাবতে শুরু করেন স্থানীয়রা। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যাঁদের দৈবী ক্ষমতা থাকে, তাঁরা জলের উপর দিয়ে হেঁটে বেড়াতে পারেন, আগুনের উপর দিয়ে চলে যেতে পারেন, এমন নানারকম গল্প শোনা যায়। কিন্তু পুরাণে কি লোককথায় যা শোনা যায়, তা কি বাস্তবে হয়? সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনা ঘটতে দেখে তাই চমকে গিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ।
আরও শুনুন: স্বামীর মৃত্যু হতেই দেওর হল ‘স্বামী’! ‘চূড়া প্রথা’র গেরোয় বিপাকে শহিদের স্ত্রী
স্থানীয় সূত্রে খবর, নর্মদা নদীর তিলওয়ারা ঘাটে দেখা যায়, জলের উপরেই হেঁটে বেড়াচ্ছেন এক মহিলা। এমন ঘটনা দেখে তাঁকে খোদ কোনও দেবী ভেবে বসেন স্থানীয় মানুষেরা। আর এই ঘটনা নিয়েই সরগরম হয়ে ওঠে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই মহিলাকে জলের উপরে হাঁটতে দেখেন স্থানীয় কয়েক জন মানুষ। মহিলার জলে হেঁটে বেড়ানোর কথা চাউর হতেই স্থানীয়রা তাঁকে এক ঝলক দেখতে নদীর তীরে ভিড় জমান। ওই মহিলাকে ‘মা নর্মদা’র রূপ মনে করে নদীর তীরেই ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুজো করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ বাহিনীও। আর এরপরেই ফাঁস হয় এই ঘটনার রহস্য।
আরও শুনুন: গরিব হলেন ধনকুবের! AI-এর কারসাজিতে ‘বিপ্লব’ নেটদুনিয়ায়
আসলে, নর্মদা নদীর জলস্তর সব জায়গায় সমান নয়। কোথাও কোথাও পায়ের পাতাটুকু জলে ডোবে মাত্র। আর সেইরকমই অগভীর এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই মহিলা। যা দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন জলের উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর তা দেখেই স্থানীয়রা তাঁকে ‘দেবী’ মনে করে বসেন। কিন্তু ওই মহিলা যে নিতান্তই রক্তমাংসের মানুষ, সে কথাই প্রকাশ্যে এসেছে এরপর। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর নাম জ্যোতি রঘুবংশী। তিনি নর্মদাপুরানের বাসিন্দা। ১০ মাস আগে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে নিখোঁজ মনে করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর বাড়ির লোকও। অবশেষে দেবী রহস্যের জেরেই বাড়ি ফেরার পথও খুলে গেল ওই মহিলার।