ঘটকালি সংস্থার ওয়েবসাইটে নাম লিখিয়েছেন এক তরুণী। তবে মজার কথা হল, হবু বরকে খুঁজে পাওয়ার উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা, কোনোটাই তাঁর নেই। স্রেফ নিজের কাজের জগতের সুবিধার জন্যই এহেন পদক্ষেপ তাঁর। কিন্তু ঠিক কী উদ্দেশ্য রয়েছে ওই তরুণীর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আগে বিবাহযোগ্য তরুণ তরুণীর নাড়িনক্ষত্র জেনে রাখতেন ঘটকেরা। আর সুবিধে পেলেই একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্বন্ধ নিয়ে হাজির হতেন। ইদানীং সেই কাজটাই ভারচুয়ালি সেরে ফেলে একাধিক সংস্থা। সেইসব সংস্থার সুবাদে বাড়িতে বসেই হবু বর কিংবা বউয়ের খোঁজ পেতে পারেন যে কেউ। কেবল সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম লেখানোর অপেক্ষা। আর সেই কাজটাই সেরে ফেলেছেন এই তরুণী। একটি ঘটকালি সংস্থার ওয়েবসাইটে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন তিনি। কিন্তু তারপরেই চমক। জানা গিয়েছে, পছন্দমতো সঙ্গী লাভের আশায় মোটেই এমনটা করেননি তিনি। বরং এর পিছনে রয়েছে অন্য উদ্দেশ্য। আর সেই কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিয়েছেন তরুণীর এক বন্ধু।
আরও শুনুন: বিয়েতে বাবার ‘অনুমতি’ বাধ্যতামূলক কেন? কন্যা সম্প্রদান নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন নারীরা
আসলে নিজের কর্মক্ষেত্রে উন্নতির জন্য কিছু খোঁজখবর নিতে চেয়েছিলেন ওই তরুণী। জানতে চেয়েছিলেন তাঁর কর্মজগতের অন্যান্য সংস্থাগুলির সুযোগসুবিধার ব্যাপারে। আর সেই কারণেই বুদ্ধি খাটিয়ে এমন শর্টকাট বেছে নিয়েছেন তিনি। ওই তরুণীর একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়ে এ কথাই জানিয়েছেন অশ্বিন বনশল নামে তাঁর এক বন্ধু। তাঁর দাবি, বিভিন্ন সংস্থার বেতন কেমন, তা জানার জন্যই না কি কোনও একটি বিখ্যাত ঘটকালি সংস্থায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তরুণী। আসলে, এই ধরনের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করাতে গেলে সকলকেই বয়স, কর্মক্ষেত্র, বেতনের খুঁটিনাটি তথ্য জমা দিতে হয়। প্রাথমিক ভাবে যেগুলি দেখে পাত্র বা পাত্রী নিজেদের জন্য সঙ্গী নির্বাচন করে থাকেন। এমনিতে কোনও সংস্থা সম্পর্কে বাইরে থেকে খোঁজ নিয়ে তার বেতনকাঠামো সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট নাও হতে পারে। কিন্তু এখানে একেবারে বেতনের অঙ্কটাই খোলাখুলি উল্লেখ করা থাকে। তাই কাজের জগতে যাঁরা তাঁর সমসাময়িক, তেমন একাধিক ব্যক্তির প্রোফাইল ঘেঁটে ওই তরুণী জেনে নিতে চেয়েছিলেন, কোন সংস্থা কতটা বেতন দেয়, কোথায় উন্নতির সুযোগ কেমন, আর বর্তমানে চাকরির বাজারে তাঁর কাজেরই বা কী দর রয়েছে। যাতে সেইসব বিষয় খতিয়ে দেখে তারপরেই ওই সংস্থাগুলিতে চাকরির আবেদন করতে পারেন তিনি। অশ্বিন জানিয়েছেন, এই তরুণী একা নন। এমনটা করে থাকেন আরও অনেকেই।
আরও শুনুন: দাঁড়িপাল্লায় কনের সঙ্গে রাখা অসংখ্য সোনার ইট! অভিনব কায়দায় ওজন পাকিস্তানের বধূকে
তবে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির জন্য যে এমন কোনও পন্থা নেওয়া যায়, সে কথা চট করে মাথায় আসবে না অনেকেরই। তাই তরুণীর এহেন কাণ্ডে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। কারও কারও মতে, এইভাবে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারেন ওই তরুণী। নিজের জন্য বেশি আয়ের কোনও চাকরি খুঁজে নিতে তো পারেনই, উপরন্তু মোটা মাইনের কোনও পাত্রও খুঁজে নিতে পারেন এই সাইট থেকে। সব মিলিয়ে তরুণীর বুদ্ধির প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।