না শিখলে কোনও কিছুই ঠিকঠাক আয়ত্ত হয় না। সে গান-বাজনা হোক কিংবা গাড়ি চালানো! কিন্তু যৌনতা? তা কি না শিখলেও চলে! অনেকেরই ধারণা সেরকম। আর তার ফল এই হয় যে, না-শেখা যৌনতার দরুণ যৌনসুখও অধরা মাধুরী হয়ে থেকে যায়। সেই অবস্থা বদলে দিতেই এবার যৌন পাঠশালা খুললেন এক মহিলা। কে তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যৌনতা নিয়ে যেমন লুকোছাপার শেষ নেই, তেমন ভুল ধারণারও অন্ত নেই। সেই কারণেই যৌনতায় অনেকেই ভুল করে বসেন। নিজেরও তৃপ্তি মেলে না, অধরা থাকে সঙ্গীর তৃপ্তিও। এদিকে এই নিয়ে আবার পরামর্শের হিড়িক। অমুক করলে তমুক হবে ইত্যাদি অজস্র বার্তা চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়। কথা হল, সবার জন্য সব পরামর্শ তো খাটে না। ফলে ভুলের উপর ভুল শুধু বাড়ে। সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ে। দেখা যায়, যৌনতার কারণে অনেক ভালো সম্পর্কই শেষ হয়ে যায়। তবে, এর প্রতিকার কোথায়? যৌনতা শেখার কি কোনও পাঠশালা হয়! প্রাচীন শাস্ত্রে নাহয় অনেক কথাই জানানো হয়েছে। আধুনিক সময়ে তা সকলে জানবেনই বা কেমন করে! বাস্তব ঘটনা থেকেই এই সমস্যা বুঝেছিলেন, রেবেকা ডাকিন। আর তাই তিনি খুলে ফেলেছেন যৌন পাঠশালা। সঙ্গীকে কীভাবে তৃপ্তি দিতে হবে, কোন ভুল করলে চলবে না, তারই বিবরণ মেলে এই পাঠশালায়।
আরও শুনুন: আছে ৫৭ সন্তান, আবার বাবা হবেন কিন্তু সঙ্গমে নারাজ! ঠিক কী দাবি যুবকের?
রেবেকা দীর্ঘদিন নানা রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেখানে মুখ্য ভূমিকা নেয় যৌনতা। সঙ্গমের নির্দিষ্ট কলাকৌশল আছে। তা অনেকখানি ব্যক্তিগতও বটে। অর্থাৎ সকলের যৌনতা এক রকম নয়। ব্যক্তি অনুযায়ী তৃপ্তি পাওয়া ও দেওয়ার ধরনও বদলে যায়। অভিজ্ঞতার কারণেই সে কথা জানতেন রেবেকা। এই অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই তিনি খুলেছেন এই যৌন পাঠশালা। বলা হয়, এটিই ইউকে-র প্রথম ‘সেক্স স্কুল’। যেখানে সঙ্গমের পদ্ধতিই শুধু শেখানো হয় না, যৌনতা সম্পর্কে সঠিক ধারণাও দেওয়া হয়। রেবেকা মনে করেন, যৌনতা ভাসা-ভাসা কোনও জিনিস নয়। সঠিক তৃপ্তি পেতে গেলে সঠিক বিদ্যেটিও আয়ত্ত করা দরকার। তিনি নিজে জানেন সেই কৌশল। জানেন, কোথায় কে কোন ভুল করে বসে! সে সব ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাই-ই শেখান রেবেকা।
আরও শুনুন: স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করবেন পড়শি যুবক! ৭২ বার ‘দায়িত্বে’ ব্যর্থ হতেই মামলা স্বামীর
কীরকম সেই কৌশল? সঙ্গমের আগে যে ফোরপ্লে জরুরি এ-কথা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু তার সময়সীমা কত? অনেকেই জানেন না যে, নারীর ক্ষেত্রে, চূড়ান্ত সঙ্গমের আগে, শারীরিক প্রস্তুতির জন্য অন্তত মিনিট চল্লিশেক সময় লাগে। রেবেকা বলছেন, সেই পর্ব অনেক আগে থেকেই শুরু করে দিতে হবে। তা যতখানি শারীরিক, তার থেকেও বেশি হল মনের উপর ঢেউ তোলা। হয়তো সঙ্গিনীকে সকালে পাঠানো একটা রসালো মেসেজই মানসিক ভাবে তাঁকে রাতের সঙ্গমের জন্য তৈরি করে দেয়। ছোট ছোট পদ্ধতিতেই যৌনতাকে মধুর করে তোলা যায়। যেমন, রেবেকা বলেন, সঙ্গীর কী ভাল লাগে, মন্দ লাগে তা জানা জরুরি। নিজের ভাল বা মন্দ লাগাও সঙ্গীকে জানানো জরুরি। সঙ্গমের সময় ছোট ছোট ভালবাসার কথাও স্বর্গসুখ দেয়। এবং সঙ্গম শেষে প্রতিক্রিয়া নেওয়াও দরকারি। এরকম বহু টিপস আছে। যা আদতে সাধারণ, তাই-ই যৌনতাকে করে তোলে অসাধারণ। পৌঁছে দেয় তৃপ্তির চূড়ান্ত বিন্দুতে। এ ছাড়া সঙ্গমের ভঙ্গি বা পজিশনের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। সে সবেরই পাঠ দেন রেবেকা তাঁর যৌন পাঠশালায়। ভুল জেনে হতাশ হওয়ার থেকে যৌনতার পাঠ নিয়ে যদি সুখ বাড়ে, তবে মন্দ কী!