যৌনতার ক্ষেত্রে সমস্যা হলে বিড়ম্বনার শেষ নেই। অনেকেই তা নিয়ে কথা বলতে চান না। অথচ সমাধান কে না চান! একটা ছোট্ট কৌশলেই সব দূর হয়ে যেতে পারে। তারই হদিশ দিলেন এক মহিলা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক তাঁর বক্তব্য।
যৌনতায় চূড়ান্ত সুখ পাওয়ায় সমস্যা! কথাটাকে আদতে আমলই দিতে চান না এক মহিলা। তার মানে এই নয় যে, বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তবে, তাঁর মতে, যে সমস্যা নিয়ে অনেকে নাজেহাল, তার সমাধান আছে হাতের নাগালেই। এবং তা এতই সাধারণ যে, অনেকে সেদিকে নজরই দিতে চান না। ফলে সমস্যা নিয়ে নানা জটিলতা। একেবারে হতাশ হয়ে পড়েন অনেকে। সম্পর্কেও ইতি পড়ে। অথচ যে কাজটি করলে এই সবকিছু এক নিমেষে দূর হয়ে যায়, তার ধারবাড় মাড়াতে চান না। সমস্যাকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে, এবার সেই সমাধানের দিকেই চোখ ফেরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন এক বিশেষজ্ঞ।
আরও শুনুন: শীতের ঠেলায় গরম জলেই স্নান, যৌনতায় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
তাঁর মতে, যৌনতা সংক্রান্ত এই যা সব সমস্যা তার যতটা না যৌনতাকেন্দ্রিক, তার থেকেও বেশি সম্পর্ককেন্দ্রিক। অর্থাৎ, সম্পর্কের রসায়নের উপরই সবটা নির্ভর করে। অনেকেই যৌনসুখ পান না। অথচ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সুখী হওয়ার ভান করেন। এই ‘ফেক অর্গ্যাজম’ আদতে সম্পর্কের পক্ষে ক্ষতিকর। এবং যৌনতার পক্ষে তো বটেই। অর্থাৎ এই ভাবে কিছুদিন চালানো যায় বটে। তবে যৌনতায় হতাশা বাড়লে সম্পর্ক ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই বাড়ে।
তাহলে উপায় কী! উপায় হল, ‘বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না’ এই নীতি যৌনতার ক্ষেত্রে চলে না। শরীর কথা বলে উঠতে পারে, যদি সম্পর্কে থাকা মানুষরা পরস্পরের সঙ্গে জরুরি কথা বলে উঠতে পারেন। হ্যাঁ, এই টিপসই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ যৌন বিশেষজ্ঞ এমলি মোর্স। তাঁর মতে, যদি যোগাযোগ অর্থাৎ কমিউনিকেশন থাকে, তাহলে আর লুব্রিকেশন নিয়ে ভাবনা চিন্তার দরকার পড়ে না। আসলে, মন খুলে যত কথা বলা যায়, তত নিজেকে স্বীকার করে নেওয়ার ক্ষেত্রটি পাকাপোক্ত হয়। নিজের উপর বিশ্বাস ফিরে আসে। আর ওটিই হল চাবিকাঠি। এমিলির মতে, নিজেকে স্বীকার করতে পারলেই যৌনতা সুন্দর হয়ে ওঠে। অর্থাৎ ‘সেলফ্ অ্যাকসেপ্টন্স’ই আসলে ‘বেটার সেক্স’। আর সেই সেতুটি বেঁধে দেয় যোগাযোগ অর্থাৎ কমিউনিকেশন। নিজেকে গোপন করা বা সঙ্গীর মন রাখার জন্য এটা সেটা বলাই যায়। তাতে আখেরে কোনও লাভ হয় না।
আরও শুনুন: যৌনতাই ওষুধ… সপ্তাহে কবার মিলনে ভালো থাকে শরীর মন, জানেন?
অন্যান্য ক্রিয়ার মতোই যৌনতাকে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করা উচিত। তার সুবিধা-অসুবিধা ভালো-মন্দ নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। পরস্পরকে জানলে বুঝলে, চূড়ান্ত সুখ পেতে আর সমস্যা হয় না। অথচ এই কথার অভাবেই যৌনতা রুখাসুখা হয়ে যায়। যৌনজীবনকে তাজা করে তুলতে অনেকেই অনেক পদ্ধতির আশ্রয় নেন। দেদার পয়সাও খরচ করেন সে সব বিষয়ে। তবে তাতে কি আদৌ লাভ হয়! এমিলির মতে, সব ছেড়ে একবার সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলেই দেখুন না। তাতে লাভ বই ক্ষতি তো নেই।